ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অধ্যক্ষ-সহ আক্রান্ত হয়েছেন ৩৬ জন। বেলেঘাটা আইডি এবং বিধি হাসপাতলে আক্রান্ত ২ জন। কলকাতা মেডিকেল কলেজ এবং হাসপাতালে আক্রান্তের সংখ্যা এই মুহূর্তে ১৯। আর আহমেদ ডেন্টাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আক্রান্তের সংখ্যা ২২। জন চিকিৎসক করণা সংক্রমণে সংক্রমিত হয়েছে। রাজ্যের সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল এসএসকেএম হাসপাতালে আক্রান্তের সংখ্যা ১২। এছাড়াও চিত্তরঞ্জন ক্যান্সার হসপিটাল আক্রান্ত হয়েছেন বেশ কয়েকজন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী ।
advertisement
এর আগে শহরে করোনা আক্রান্ত হন বহু চিকিৎসক, জোড়া টিকা নিয়েও আক্রান্ত হন ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের অধক্ষ্য। এ ছাড়াও করোনার প্রকোপে পড়ে চিত্তরঞ্জন সেবাসদন। সেই হাসপাতালে সুপার, সহকারী সুপার, চিকিৎসক-সহ মোট ৩৬ জন স্বাস্থ্যকর্মীর শরীরে করোনা ধরা পড়ে। এ ছাড়াও, রবিবারই খবর পাওয়া যায়, মেডিক্যাল কলেজেও নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। মেডিক্যাল কলেজের অধক্ষ্য অজয় রায় আগেই করোনা পজিটিভ হয়েছিলেন। তিনি এখন বাড়িতে আইসোলেশনে রয়েছেন বলে খবর। চিত্তরঞ্জন সেবাসদনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, যে সমস্ত চিকিৎসকরা কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে দু'জন হাসপাতালেও রযেছেন বলে খবর। যদিও স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে খবর, চিকিৎসক স্বাস্থ্যকর্মীরা করোনা আক্রান্ত হলেও স্বাস্থ্য পরিষেবায় কোনও রকম বাধা সৃষ্টি হবে না। যে ভাবে সাধারণ মানুষকে পরিষেবা দেওয়া হচ্ছিল, তেমনই হবে।
আরও পড়ুন: আজ থেকে শুরু ছোটদের টিকাকরণ, কীভাবে করবেন নাম নথিভুক্ত? কতটা প্রস্তুত দেশ? জানুন যাবতীয়...
রাজ্যে করোনা পরিস্থিতি এতটাই উদ্বেগজনক যে সোমবার থেকেই আংশিক কড়া বিধিনিষেধ কার্যকর করেছে রাজ্য সরকার। লোকাল ট্রেনের যাতায়াতে নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে, রেস্তরাঁ, পাব, জিম থেকে শুরু করে অনেককিছু বন্ধ করেছে রাজ্য সরকার। বন্ধ করা হয়েছে, স্কুল, কলেজ। তবুও সংক্রমণ লাফিয়ে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। সোমবার রাতে দৈনিক সংক্রমণের পরিমাণ ছাড়িয়ে গিয়েছে ছ'হাজারে গণ্ডি। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি ভয়াবহ। এর পরে স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর উপর একটা চাপ তৈরি হওয়াও স্বাভাবিক। সেখানে স্বাস্থ্যকর্মীরা যদি করোনা আক্রান্ত হতে থাকেন, তাহলে স্বাস্থ্য পরিষেবায় বাধা তৈরি হবে না তো, সেটাই এখন একমাত্র চিন্তার।
Onkar Sarkar
Somraj Banerjee