স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, শ্বাসকষ্ট নিয়ে ২৬ মার্চ বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি হন ওই ব্যক্তি। করোনার সংক্রমণের লক্ষণে দেখা দেওয়ায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাঁর লালারসের নমুনা নাইসেডে পাঠায়। রবিবার রাতে সেই রিপোর্ট হাতে পান রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরা। তারপরই জানা গিয়েছে করোনা পজিটিভ ওই ব্যক্তি।
প্রসঙ্গত, সন্ধ্যায় যে চিকিৎসকের করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে আলিপুর কম্যান্ড হাসপাতালে কর্মরত। পেশায় অ্যানাসথেটিস্ট ওই ব্যক্তির সোয়াব নমুনা পাঠানো হয় নাইসেডে। রবিবার বিকেলে সেই রিপোর্ট পজিটিভ আসে।
advertisement
প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি দিল্লি গিয়েছিলেন ওই চিকিৎসক। গত ১৬ মার্চ দিল্লি থেকে কলকাতায় ফেরেন। ১৭ মার্চ কাজে যোগ দেন। তারপর সুস্থই ছিলেন। এরপর হঠাৎই নানা উপসর্গ দেখা দেয়। এরপর হাসপাতালেই আইসোলেশনে ছিলেন তিনি। তাঁর সোয়াবের নমুনা পাঠানো হয় নাইসেডে। সেখান থেকে আজ রিপোর্ট আসে। পশ্চিমবঙ্গে কোনও চিকিৎসক করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা এই প্রথম। স্বভাবতই স্বাস্থ্য মহল এই বিষয়ে অত্যন্ত উদ্বিগ্ন। কারণ করোনা আক্রান্ত অবস্থাতেই ওই চিকিৎসক বহু রোগী দেখেছেন এবং যেহেতু তিনি ক্রিটিক্যাল কেয়ারের সঙ্গে যুক্ত তাই রোগীদের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শে তাঁকে আসতে হয়েছে। আপাতত কম্যান্ড হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছেন তিনি৷