কেউ বা আবার সঙ্গে করে নিয়েই এসেছেন জ্যান্ত দুর্গাদের। সবার মধ্যে একটাই মিল। সবার হাতেই কমবেশি দামি ক্যামেরা। কিংবা নিদেনপক্ষে একটা মোবাইল। গত কয়েক বছরে যাঁরা কুমোরটুলি গিয়েছেন, তাঁরা সবাই এই ছবিটার সঙ্গে পরিচিত।
বিগত কয়েক বছরে চিত্রগ্রাহকদের সংখ্যা যে হারে বৃদ্ধি পেয়েছে, তাতে কিছুটা সমস্যাতেই পড়ছিলেন মৃৎশিল্পী ও কারিগররা। তবে তাঁদের সংগঠন কুমোরটুলি মৃৎশিল্প সংস্কৃতি সমিতির তরফে এই শিল্পীদের সুবিধার্থেই চালু করা হয় টিকিট কেটে ছবি তোলার ব্যবস্থা।
advertisement
আরও পড়ুন- নেই দাদা, ভাবতেই পারছে না একডালিয়া! সুব্রত-হীন পুজো যেন এভারগ্রিন নয়
বছর তিনেক ধরে এই টিকিট চালু হলেও গত দুবছর সেভাবে লাভ হয়নি। এবছর একদিকে যখন মূর্তির বায়নাও প্রচুর সংখ্যক এসেছে, পাশাপাশি চিত্রগ্রাহকদের ভিড়ও প্রচুর পরিমাণে হচ্ছে কুমোরটুলিতে।
কুমোরটুলি মৃৎশিল্প সংস্কৃতি সমিতির কোষাধ্যক্ষ সুজিত পাল জানালেন, প্রচুর চাহিদা রয়েছে এবছর এই টিকিটের। যেহেতু এই টিকিট বেশিরভাগই কেনেন কলেজের ছাত্রছাত্রীরাই, তাই তাঁদের কথা মাথায় রেখে দামও খুব সামান্য রাখা হয়েছে।
৫০ টাকার একটা টিকিট কিনলে এক মাস পর্যন্ত সেই টিকিট বৈধ থাকবে কুমোরটুলিতে। ১০০ টাকার টিকিট কিনলে তার বৈধতা পরবর্তী সরস্বতী পুজো পর্যন্ত থাকবে বলেই জানান তিনি। টিকিটের দাম ও মাত্রাতিরিক্ত না হওয়ায় খুশি চিত্রগ্রাহকরাও।
উত্তর ২৪ পরগনার নিউ ব্যারাকপুরের বাসিন্দা শীর্ষেন্দু রায়। বহু বছর ধরেই আসেন এই অঞ্চলে ছবি তুলতে। তিনি জানান, " দীর্ঘ অনেক বছর ধরেই এই অঞ্চলে ছবি তুললেও শেষ কয়েক বছর ধরে ভিড় একটু বেশিই হয় এখানে। তবে টিকিট চালু করে এই শিল্পীরা যদি তাদের শিল্পের দাম পান, তাতে সত্যিই সমস্যার কিছু থাকতে পারে না।"
আরও পড়ুন- বাড়ির পাশের রাস্তা খারাপ? পুজোর আগেই একটা কল পুরসভায়, পৌঁছে যাবে মোবাইল ভ্যান
দু'বছর পর চেনা ব্যস্ততার ছন্দে কুমোরটুলিকে ফিরতে দেখে খুবই খুশি মৃৎশিল্পী থেকে জরির শিল্পী এবং কুমারটুলির অন্যান্য কারিগরেরা।