রাজ্যে মোট পঞ্চায়েত ৩২২৯। তার মধ্যে ২৫৬৮ টি পঞ্চায়েতকে তাদের কাজের নিরিখে এই টাকা বরাদ্দ করা হল। এই টাকায় পঞ্চায়েতগুলো তাদের এলাকায় রাস্তা নির্মাণ, পানীয় জলের জন্য গভীর নলকূপ খনন, নিকাশি নালা তৈরি, নতুন কালভার্ট তৈরি, বাড়ি তৈরি, সৌর শক্তির ব্যবহার-সহ যে কোনও রকম পরিকাঠামো তৈরি করতে পারবে বলে জানান মন্ত্রী।
advertisement
২০১১ সাল থেকে রাজ্যের গ্রাম পঞ্চায়েতগুলো তাদের কাজের মূল্যায়নের ভিত্তিতে প্রতি বছর বিশ্ব ব্যাঙ্ক থেকে একটি অনুদান পেয়ে আসছে। ২০২০-২১ অর্থবর্ষে বিশ্ব ব্যাঙ্ক ৪৬১ কোটি ৭২ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করেছে রাজ্যের পঞ্চায়েতগুলোর জন্য। যা গত অর্থবছরের তুলনায় ৩৫ শতাংশ বেশি। কোন গ্রাম পঞ্চায়েত কত টাকা পাবে তা নির্ভর করে এলাকার জনসংখ্যা, ভৌগোলিক পরিধি এবং অবশ্যই কাজের মূল্যায়নে নিরিখে।
পঞ্চায়েতগুলোর কাজের মূল্যায়ন কোনও স্বাধীন সংস্থার মাধ্যমে প্রতি বছর করে থাকে বিশ্বব্যাঙ্ক । সেই রিপোর্টের উপর ভিত্তি করেই পঞ্চায়েতদের অনুদান দেওয়া হয় । এই অনুদান নিঃশর্ত তহবিল হিসেবে পেয়ে থাকে তারা।
পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখার্জি বলেন, 'দশ বছর আগে আমি যখন মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে ছিলাম তখন বিভিন্ন প্রকল্পে সারা দেশের নিরিখে আমরা ২৭-২৮ নম্বরে ছিলাম । এখন আমাদের একাধিক প্রকল্প কাজের নিরিখে দেশের সেরা । এছাড়াও আরও অনেক প্রকল্প দু তিন নম্বরে রয়েছে ।' বাংলা আবাস যোজনা, গ্রাম সড়ক যোজনা, মিশন নির্মল বাংলা, আনন্দধারার মতন বেশ কয়েকটি প্রকল্পে বাংলা দেশের সেরা বলে দাবি মন্ত্রীর । তিনি আরও বলেন, ২০২০-২১ অর্থবর্ষে ৮,৮২,০৩৬ টি নতুন বাড়ি তৈরির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে যা দেশের মধ্যে সর্বাধিক। পাশাপাশি এই অর্থবর্ষে ২০০০ কিলোমিটার নতুন রাস্তা তৈরির লক্ষ্যমাত্রা স্থির করা হয়েছে।