এ রাজ্যে অবস্থিত বেসরকারি হাসপাতালগুলি টাকা না পাওয়ার যে অভিযোগ প্রায়ই জানায়, স্বাস্থ্যসাথীর এই হিসেবে তাও নস্যাৎ হয়ে গিয়েছে। ওয়েবসাইটের মাধ্যমে জানানো চিকিৎসা খরচ খাতে ক্লেমের প্রায় ৯৫ শতাংশ টাকাই রাজ্য মিটিয়ে দিয়েছে বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে।
স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প শুরুর পর যত দিন গড়িয়েছে ততই এই খাতে রাজ্যের খরচ বাড়তে থাকে। তাতেও পিছিয়ে যাননি মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দফতর। ২০২১ - ২২ সালে, শুধু এক বছরেই এই স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পে দু হাজার দুশো কোটি টাকা মেটায় রাজ্য। এবছর এখনও পর্যন্ত মেটানো হয়েছে এক হাজার চারশো কোটি টাকা।
advertisement
আরও পড়ুন - Rohit Sharma: গলায় জাতীয় সঙ্গীত, চোখ ভরে এল জলে! ভারত বনাম পাক ম্যাচের আগেই ভাইরাল রোহিত শর্মা
কিন্তু সরকারি হাসপাতাল এবং মেডিক্যাল কলেজ গুলি যে গত কয়েক মাস ধরে অভিযোগ তুলছে, স্বাস্থ্যসাথীর টাকা পাওয়া যাচ্ছে না, এবং হাসপাতাল গুলির নিজেদের রোজকার খরচ চালানো যাচ্ছে না! দফতরের এক আধিকারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ঠিক।
আরও পড়ুন - Surya Grahan: দীপাবলীতে সূর্যগ্রহণ, দেব দীপাবলীতে চন্দ্রগ্রহণের ছায়া! একাধিক রাশির জন্য দারুণ খারাপ সময়
এই প্রকল্পে চিকিৎসা বাবদ সরকারি হাসপাতাল গুলির প্রাপ্য আড়াইশো কোটি টাকা এখনও মেটানো হয়নি। স্বাস্থ্য দফতরের যুক্তি হল, সরকারিহাসপাতাল ও কলেজ গুলিতে মেডিক্যাল চালানোর পরিষেবা ও যাবতীয় খরচ রাজ্য বাজেট থেকে নিয়ম মাফিক মেটানো হচ্ছে। স্বাস্থ্যসাথীর বকেয়া টাকা না পেলে তাদের বিরাট কোনও ক্ষতি নেই। এর সঙ্গে সাধারণ মানুষের পরিষেবা পাওয়ার কোনও সম্পর্ক নেই। প্রকল্প যেমন চলছে তেমনই চলবে।
Onkar Sarkar