গত বছরের ডিসেম্বরে বীরভূমের রামপুরহাটে সিবিআইয়ের অস্থায়ী অফিসের শৌচাগারে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হয় বগটুই কাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত লালন শেখের দেহ। ঘটনা ঘিরে শোরগোল পড়ে যায় গোটা রাজ্যে। এ নিয়ে রামপুরহাট থানায় অভিযোগ দায়ের করেন লালনের স্ত্রী রেশমা বিবি। পরে লালন মৃত্যুর তদন্ত শুরু করে সিআইডি।
আরও পড়ুন: স্বামীর মতোই বিমান দুর্ঘটনায় মৃত্য়ু, মাত্র দশ সেকেন্ডের জন্য় স্বপ্নপূরণ হল না কো-পাইলট অঞ্জুর
advertisement
হেফাজতে থাকা অবস্থায় কী ভাবে বন্দিমৃত্যুর ঘটনা ঘটল, তা নিয়ে ঘরে-বাইরে বারবার সমালোচনার মুখে পড়তে হয় সিবিআইকে। আদালতের রোষের মুখেও পড়েন সিবিআই কর্তারা। গোটা ঘটনায় বিভাগীয় তদন্ত শুরু করেছিল সিবিআই।
জানা গিয়েছে, বিভাগীয় তদন্তে চার জনের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগের প্রমাণ পেয়েছে সিবিআই। তারপরেই তাঁদের সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত।
ভাদু শেখ খুনের ঘটনায় তদন্তকারী অফিসার হলেন ইনস্পেক্টর রাহুল প্রিয়দর্শী। অন্যদিকে, বগটুই কাণ্ডের তদন্তকারী অফিসার বিলাস মাহাধঘুট। দুজনকেই আপাতত সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিবিআই। প্রসঙ্গত, এই দুজনের নামই তাঁর এফআইআরে উল্লেখ করেছিলেন রেশমা বিবি। বগটুই এর ঘচনার সময়ে বিলাস ইনস্পেক্টর থাকলেও পরে তাঁর পদোন্নতি হয়। বর্তমানে ডিএসপি পদমর্যাদার একজন অফিসার তিনি।