মেটিয়াবুরুজ সংলগ্ন নাদিয়াল থানা এলাকার আতিফা খাতুনকে গত রবিবার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। জানা যায়, জ্বর ও সর্দি কাশির জেরে তার মৃত্যু। আতিফার বয়স এক বছর সাত মাস। সকাল ৬ টা নাগাদ হাসপাতালের পক্ষ থেকে আতিফার পরিবারকে তার মৃত্য়ুর কথা জানানো হয়।
অন্য দিকে, উত্তর ২৪ পরগনার, মিনাখা থানার অন্তর্গত, চৈতল এলাকার আরমান গাজী ছ'দিন ধরে ভর্তি হাসপাতালে ছিল। তার বয়স মাত্র চার মাস। রবিবার ভোর চারটে ২০ নাগাদ তার মৃত্যু হয়।
advertisement
এই দু'জন ছাড়াও রবিবার সকালে আরও এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। তার বয়স সাত মাস। জানা গিয়েছে, সেই শিশুটিও জ্বর-শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে ভর্তি হয়েছিল হাসপাতালে।
আরও পড়ুন: হুহু করে ছড়াচ্ছে অ্যাডিনোভাইরাস! মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ৪ শিশুর মৃত্যু কলকাতায়
আরও পড়ুন: বাড়ছে আতঙ্ক, অ্যাডিনো ভাইরাসে আক্রান্ত ১২০ জন শিশু ভর্তি পূর্ব বর্ধমান জেলা হাসপাতালে
গত ৯ দিনে এখনও পর্যন্ত ৩৮ টি শিশুর মৃত্যু বিসি রায় হাসপাতালে। গত শনিবার থেকে রবিবার পর্যন্ত ছয় শিশুর মৃত্যু হয়েছে। রবিবার অর্থাৎ ৫ তারিখ প্রাণ হারিয়েছে তিন শিশু।
কলকাতায় দশটি পরিবারে মধ্যে চারটি পরিবারের এক বা একাধিক ব্যক্তি অসুস্থ। গত ৩০ দিনে তাঁরা কেউ অবিরাম কাশি, শারীরিক ক্লান্তি, শরীরে ব্যথা এবং জ্বরের মতো সমস্যায় ভুগছেন। দিন কয়েক আগে অ্যাডিনোভাইরাস সংক্রমণের লোকাল সার্কেলের একটি সমীক্ষা থেকে এই তথ্য উঠে এসেছে।
করোনার পর রাজ্যে ক্রমশ চেপে বসছে অ্যাডিনো ভাইরাসের আতঙ্ক। গত কয়েকদিনে বেশ কয়েকটি শিশুর মৃত্যু হয়েছে কলকাতার বিভিন্ন হাসপাতালে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ময়দানে নামতে হয়েছে খোদ মুখ্যমন্ত্রীকে। মঙ্গলবার স্বাস্থ্যসচিবের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করেছেন তিনি।