#কলকাতা: ১ বা ২ কেজি নয়, কলকাতা পুলিশ-এর হাতে ধরা পরল ২৫ কেজি হেরোইন। যার বাজার মূল্য ১০৫ কোটি টাকা।
কলকাতা পুলিশের স্পেশ্যাল টাক্স ফোর্সের কাছে গোপন সুত্রে খবর ছিল, পাইকপাড়ার একটি গোপন স্থানে হেরোইন পাচার হবে। খবর মত আগে থেকেই সেখানে হাজির হন এসটিএফের অফিসরা। সেখানে কেঁচো খুঁড়তে গিয়ে বেরলো কেউটে। ১ বা ২ কেজি হেরোইন এসটিএফের জালে মাঝে মধ্যেই ধরা পড়ে। কিন্তু একেবারে ২৫ কেজি হেরোইন পেয়ে অবাক বাঘা বাঘা পুলিশরা। এই বিপুল পরিমাণ মাদক-সহ ভিন রাজ্যের দুই মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে একইসঙ্গে।
advertisement
ধৃতদের মধ্যে বছর চল্লিশের জ়ুবের উত্তরপ্রদেশের বাহরাইচের বাসিন্দা। পেশায় হকার। একই সঙ্গে মদক পাচারকারী হিসেবেও কাজ করে। অন্যদিকে, মণিপুরের কাকচিংয়ের বাসিন্দা ফৈয়াজউদ্দিন আদতে কৃষিকাজ করে। পুলিশ সূত্রে খবর, উত্তর-পূর্ব ভারতের হেরোইনের সঙ্গে অন্যান্য মাদক এবং রাসায়নিক মেশানো মাদকের চাহিদা প্রবল। যাতে নেশা হয় বেশি। গোটা দেশেই নাকি প্রবল চাহিদা এই মাদকের। আবার ব্যবসায়িক দিক থেকেও এই মাদক কারবারিদের কাছে লাভদায়ক। কারণ রাসায়নিক দ্রব্য মেশানো ওই মাদক, হেরোইনের দামেই বিক্রি হয়।
তাই গোয়েন্দারা মনে করছে ফৈয়াজ়উদ্দিন, জু়বেরের কাছ থেকে সেই হেরোইন নিতেই এসেছিল। আর জু়বের এসেছিল খাঁটি হেরোইন নিতে। জুবেরের থেকে উদ্ধার হয় ২০ কেজি ও ফৈয়াজউদ্দিনের কাছ থেকে উদ্ধার হয় ৫ কেজি। ২৫ কেজি মাদক ছোট ছোট করে বিভিন্ন অর্ডার মত পৌঁছে যেত শহর ও শহরতলির বিভিন্ন জায়গায়।
ধৃতদের মঙ্গলবার ব্যাঙ্কশাল কোর্টে তোলা হয়। ধৃত দুইজনকে ৪ ফেব্রয়ারি পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতে নির্দেশ দেয় আদালত। এসটিএফের তরফে জানানো হয়, গতবছরে কেস ছিল ৫টি ৷ যাতে প্রায় ৭ কেজি মাদক উদ্ধার হয়, যার বাজার মূল্য ২৮ কোটি। এই বছরের শুরুতেই ২টি ঘটনা ঘটেছে শহরে। তবে এবছর, গত বছরের সব রেকর্ড ভেঙে উদ্ধার হয়েছে ২৭ কেজি মাদক, যার বাজার মূল্য ১১০ কোটি টাকা।