কর্মসূচির আগের দিন বিভিন্ন ক্যাম্পে আগে থেকে আসা কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে দেখা করেন তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। এ দিন গীতাঞ্জলি স্টেডিয়ামে মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, “প্রতিবার একুশে জুলাই তার আগেরবারের রেকর্ড ভেঙে দেয়। কিন্তু এবার যে একুশে জুলাই হবে তা সর্বকালের সব রেকর্ড ভেঙে চুরমার করে দেবে। যেভাবে পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির সমস্ত কুৎসা ও অপপ্রচারকে দূরে সরিয়ে দিয়ে বাংলার মানুষ যেভাবে তৃণমূল কংগ্রেসকে আশীর্বাদ করেছেন। যেভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর ভরসা রেখেছেন। তাতে বোঝা যাচ্ছে যে তৃণমূলের উপর মানুষের আস্থা দিন দিন বেড়েই চলেছে। একুশে জুলাই এর বিভিন্ন ক্যাম্পে যে উৎসাহ দেখা যাচ্ছে। বিশেষ করে উত্তরবঙ্গ থেকে যেভাবে মানুষের ঢল নামছে আগামীকাল ধর্মতলা চত্বর জনসমুদ্রে পরিণত হবে।”
advertisement
আরও পড়ুনঃ মল মাস শ্রাবণ! এ মাসে কী করবেন, কী করবেন না? জেনে নিন বিস্তারিত…
গীতাঞ্জলি স্টেডিয়ামে মূলত মালদহ এবং মুর্শিদাবাদের কর্মী সমর্থকদের জন্য থাকার ব্যবস্থা করেছে তৃণমূল নেতৃত্ব। পঞ্চায়েত নির্বাচনে মালদা এবং মুর্শিদাবাদের শাসক দলের অভূতপূর্ব সাফল্য তারপরে ২১ জুলাই মানুষের বিশেষ করে তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের ওই দুই জেলায় উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মতন। মালদহ থেকে এসেছেন আজিজ হোসেন।
আজিজ হোসেন বলেন, “মালদা জেলাতে পঞ্চায়েত নির্বাচনে আমরা যেভাবে মানুষের সমর্থন পেয়েছি তা এক কথায় অবিশ্বাস্য। আগামী লোকসভা নির্বাচনেও আমরা জেলার সবকটি আসোনই দখল করব। তবে দলের প্রতি আমাদের জেলার দায়িত্ব আরও বৃদ্ধি পেয়েছে তাই নির্বাচনের পাশাপাশি একুশের ভিড়েও আমরা অন্য জেলাকে টক্কর দেব। আগামীকাল সকালে যে ট্রেনগুলো ঢুকবে তাতে তা প্রতিফলিত হবে।”
মুর্শিদাবাদ থেকে এসেছেন শ্যামল নস্কর। তিনি বলেন, “মুর্শিদাবাদ জেলায় কার্যত ঘাসফুলের ঝড় উঠেছে। সেই ঝড় আসতে আসতে জন সুনামিতে পরিণত হবে। তবে একুশের যে ভিড় হবে তাতেও আমাদের অংশগ্রহণ থাকবে চোখে পড়ার মতন।”
UJJAL ROY