ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে হচ্ছে শহিদ দিবসের মঞ্চ। সেই মূল মঞ্চের নিরাপত্তা ভাগ করা হয়েছে তিনটি জোনে। জোন ১– এর মধ্যেই আবার প্রথম জোনকে তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। ডায়াস ও ভিক্টোরিয়া হাউজ (কোলাপসেবল গেট) ২) মূল মঞ্চের সামনে ডি জোনের ভিতরের অংশ ৩) মূল মঞ্চের সামনে ডি জোনের বাইরের অংশএই প্রথম জোনের নিরাপত্তার দায়িত্বে ১ জন ডিসি, ৩ জন এসি, ৫ ইনস্পেক্টর, ৫ জন এসআই/ সার্জেন্ট, ৩০ জন (আনআর্মড)পুলিশ, ৯৫ জন সাদা পোশাকে পুলিশ (মহিলা ও পুরুষ), ৪০ জন RAF (মহিলা ও পুরুষ), মঞ্চের সামনে ডি জোনের বাইরে থাকবে ২০ জনের উইনার্স টিম। জোন ২– মঞ্চর পিছন দিক ও সংলগ্ন এলাকা– এই জোনকে সাতটি ভাগে ভাগ করে নজরদারি চলবে। তার মধ্যে পাঁচটি জায়গায় ছাদ থেকে চলবে নজরদারি।
advertisement
আরও পড়ুন– বৃষ্টি কিছুটা বাড়বে আগামিকাল থেকে, থাকবে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তিও
জোন ২-এ নিরাপত্তার দায়িত্বে ১ জন ডিসি, ৩ জন এসি, ৬ জন ইনস্পেক্টর, ১২ জন এসআই, ১৭ জন ASI, ৬৫ জন আনআর্মড পুলিশ, ১০ জন সাদা পোশাকে পুলিশ থাকবেন। জোন ৩– ডি জোনের বাইরে চৌরঙ্গী স্কোয়ার ও স্টেটসম্যন হাউস সংলগ্ন অংশ। এই জোন পাঁচটা ভাগে ভাগ করে থাকছে পুলিশ। নিরাপত্তার দায়িত্বে ১ জন DC, ৫ জন AC, ৭ জন ইনস্পেক্টর, ১৮ জন SI, ১৯ জন ASI, ১০৪ জন (আনআর্মড), ২ জন সাদা পোশাক পরা পুলিশ থাকবেন।
এছাড়া ২১ জুলাইকে কেন্দ্র করে গোটা শহর ১০ জোনে ভাগ করে করা হয়েছে পুলিশি বন্দোবস্ত। প্রত্যেক জোনে ৫/৭ করে পিকেট থাকবে। প্রত্যেক জোনের কোথাও একজন তো কোথাও দু’জন ডিসি। যাদের অধীনে থাকবে অন্তত ৭০/৮০ জন করে পুলিশ। এছাড়াও নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে মঞ্চের আশপাশের হাইরাইজ বিল্ডিং থেকে নজরদারি চলবে। মেট্রো রেলে অতিরিক্ত পুলিশ, চলবে ড্রোনে নজরদারিও। মঞ্চকে কেন্দ্র করে ৮টি জায়গার ছাদে থেকে ভিডিওগ্রাফি করা হবে। থাকবে অ্যান্টি সাবোটাজ টিম।
আরও পড়ুন– ‘আরও বেশি হবে চুরি, সঙ্গে আছে ইয়েচুরি…’ বিজেপি বিরোধী জোটকে কটাক্ষ শুভেন্দু অধিকারীর
লোকসভা ভোটের আগে তৃণমূলের বৃহত্তর সমাবেশ। ফলে ব্যাপক জমায়েত হবে ধরে নিয়েই ধর্মতলাতেই শহিদ দিবস পালন হচ্ছে। ফলে অনেক বেশি ভিড় হওয়ার সম্ভাবনা। একাধিক জেলা থেকে প্রচুর গাড়ি আসার সম্ভবনা রয়েছে অনুষ্ঠান স্থলের দিকে। ফলে তিনটে জোনে ভাগ করে করা হচ্ছে পার্কিংয়ের ব্যবস্থা। A জোনে থাকতে ৭ টি পার্কিং প্লেস, B জোনে ১৫ টি পার্কিং প্লেস, C জোনে ১৯ টি পার্কিং প্লেস। গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক রাখতে ডিসি ট্রাফিকের নেতৃত্বে বুধবার রাত ৯টা থেকে ডিউটি মোতায়েন থাকতে বলা হয়েছে। যাতে গাড়িগুলো নির্দিষ্ট জায়গায় পার্কিং করা যায়। শহরের ১৯টি গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় পিকেট থাকবে পুলিশের, ১৫ টি জায়গায় রাখা থাকবে অ্যাম্বুল্যান্স।