প্রোগ্রেসিভ ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে এই সমস্ত অস্থায়ী মেডিকেল ক্যাম্প তৈরি করা হয়েছিল তাতে ইসিজি, স্যালাইন, রক্তপরীক্ষা ও অক্সিজেন সাপোর্টসহ প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। তাতে শুধুমাত্র আজকেই ধর্মতলা মেগা মেডিকেল ক্যাম্পে ইসিজি,স্যালাইন, রক্তপরীক্ষা, অক্সিজেন সাপোর্ট দেওয়া হয়েছে ২৫০ রোগীর এবং ২২০০ রোগীর অন্যান্য রোগের প্রাথমিক চিকিৎসা করা হয়েছে। প্রোগ্রেসিভ ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ডায়োরিয়া, সুগার নেমে যাওয়া, বমি, জ্বর, কাশি, চোটলাগা, ডিহাইড্রেশন, সানস্ট্রোক রোগী দেখা হয়েছে। প্রাথমিক চিকিৎসা করে দেওয়া হয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন: ৫০ বছর ধরে এখানে শুধু CPIM জেতে! কারণ অবাক করবে! সবুজ ঝড়েও লালের জয়!
তবে অনেকের চোট গুরুতর ছিল যার জন্য সেলাইয়ের প্রয়োজন সে সমস্ত করতে যে হাসপাতাল ফাঁকা পাওয়া গেছে সেখানেই রেফার করে দেওয়া হয় তাঁদের। মূলত কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ, এম আর বাঙুর হাসপাতাল, আরজিকর, নীলরতন সরকার হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে রোগীদের। এই ক্যাম্পের জন্য মোট ১৫০ জন চিকিৎসক (আ্যলোপ্যাথি ও আয়ুশ সহ), ৩৫ জন নার্স, ২০ জন ফার্মাসিস্ট, ১৫ জন টেকনিশিয়ান ক্যাম্পে যুক্ত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ‘আগ্নেয়াস্ত্র নয়, ওটা লাইটার,’ মমতার বাড়ির গলিতে ধৃত নুরকে নিয়ে চাঞ্চল্যকর দাবি
প্রসঙ্গত, একুশে জুলাই তৃণমূল কংগ্রেসের শহীদ সমাবেশ উপলক্ষে স্বাস্থ্য দপ্তরের পক্ষ থেকে সমস্ত হাসপাতাল গুলিকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। ব্লাড ব্যাংক গুলিকেও নিজেদের পর্যাপ্ত মতো রক্ত প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছিল। যা নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল রাজনৈতিক মহলে। চিকিৎসক সংগঠনের পক্ষ থেকে মুখ্য সচিব কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি ও রাজ্যপালকে এর বিরুদ্ধে চিঠি দেওয়া হয়েছিল। একটা দলীয় রাজনৈতিক অনুষ্ঠানের জন্য কেন স্বাস্থ্য ভবনের পক্ষ থেকে সরকারি নির্দেশিকা জারি করা হয়েছিল, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়।