৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৬: অনেক চেষ্টাচরিত্রের পর গা থেকে প্রভাবশালী তকমা ঝেড়ে ফেলতে সফল হন মদন মিত্র। আলিপুর আদালতের নির্দেশে শেষমেষ জামিন পান রাজ্যের প্রাক্তনমন্ত্রী। মুক্ত হন একুশ মাসের বন্দিদশা থেকে। কিন্তু জামিন সত্ত্বেও একের পর এক আইনি জটিলতায় জড়ান মদন।
জামিন পেলেও আলিপুর জেলে ঠিকসময়ে পৌঁছয়নি রিলিজ অর্ডার। সময় পার করে মুক্তি দিলে হাইকোর্টে আপত্তি জানাতে পারত সিবিআই। সেই আশঙ্কায় ৯ সেপ্টেম্বর আর জেলের বাইরে পা রাখেননি সাবধানী মদন। পরিবর্তে ১০ সেপ্টেম্বর মুক্তি পান। কিন্তু জামিনের আদেশনামায় গেরোয় তখনই বাড়ি ফেরা হয়নি তৃণমূল নেতার। জামিনের শর্ত ছিল, থাকতে হবে ভবানীপুর থানা এলাকায়। তাই জেল থেকে বেরিয়ে এলগিন রোডের এক হোটেলে ওঠেন তিনি। শেষমেষ আদালতের নির্দেশেই দিন কয়েক আগে বাড়ি ফিরেছেন এই তৃণমূল নেতা।
advertisement
৫ অক্টোবর, ২০১৬ : আইনেই ছিল জামিনের পথ। সেই পথেই জেলমুক্তি হয় সাংসদ কুণাল ঘোষের। সারদা মামলায় কুণালকে অন্তর্বর্তী জামিন দেয় হাইকোর্টের বিচারপতি অসীম কুমার রায় ও মলয়মরুৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ। কোন পথে জামিন পান কুণাল?
কোন পথে জামিন
- সারদা রিয়েলটির মূল মামলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে বিচারাধীন
- ম্যাজিস্ট্রেট সর্বোচ্চ ৩ বছরের সাজা দিতে পারেন
- সর্বোচ্চ ৩ বছর সাজার ক্ষেত্রে বিচার চলাকালীন অভিযুক্ত দেড় বছরের বেশি হেফাজতে থাকলে তাঁর জামিন প্রাপ্য
- জেল কোড অনুসারে প্রতিবছর ৪৫ দিন শাস্তি মকুব হয়
- সেই অনুসারে ৩ বছরে সাজা খাটার কথা ৩১ মাস ১৫ দিন
- কিন্তু ততদিনে ৩৪ মাসের বেশি জেল খাটা হয়ে গিয়েছিল কুণালের
সব মিলিয়ে ২০১৬ স্বস্তি এনে দিল মদন মিত্র ও কুণাল ঘোষকে।