২ দিন আগে ভবানীপুর এলাকায় সন্তান প্রসবের মাত্র ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে মৃত্যু হয় এক ডেঙ্গি আক্রান্ত তরুণীর। মৃতের নাম গুড়িয়া কুমারী রজক। কলকাতা পুরসভার ৭০ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা গুড়িয়া কুমারী। গর্ভবতী হওয়ায় এসএসকেএম হাসপাতালের গাইনোকোলজি বিভাগে তাঁর চিকিৎসা চলছিল।
উৎসবের মরসুম প্রায় শেষের পথে কিন্তু ডেঙ্গিতে আক্রান্ত এবং মৃত্যুর সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে কলকাতা পুর এলাকাগুলিতে। পুরসভার তরফ থেকে বারংবার সচেতনতার প্রচার চালানোর পরও ডেঙ্গির এই পরিস্থিতি চিন্তা বাড়াচ্ছে রাজ্যের সাধারণ মানুষের মনে।
advertisement
আরও পড়ুন: দুয়ারে সরকার থেকে মিলবে এই দুই নতুন পরিষেবা, শিবির শুরুর আগেই বড় ঘোষণা নবান্নের
চলতি বছরের প্রথমের দিকে রাজ্যের মানুষ প্রধানত আক্রান্ত হচ্ছিলেন ‘ডেঙ্গি ২’ ভাইরাসে। চিকিৎসকেরা অনুমান করেছিলেন, এই ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যাক্তি কম ভুগবেন এবং মৃত্যুও কম হবে। কারণ, ৪ ধরনের ডেঙ্গির মধ্যে একটির প্রাধান্য থাকলে, একবার সেটি হয়ে গেলে অন্যটিতে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশ কমই। দ্বিতীয়বার সংক্রামিত হলে, ‘ডেঙ্গি ২’-তেই সংক্রামিত হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকবে এবং প্রথমবারের অ্যান্টিবডি দ্বিতীয়বারের বিপদ থেকে বাঁচাবে।
কিন্তু বছরের মাঝামাঝি সময় থেকে ঘুরতে শুরু করল এই পরিস্থিতি।রাজ্যের 'স্কুল অব ট্রপিক্যাল মেডিসিন'-সহ অন্যান্য ইনস্টিটিউটের পরীক্ষায় ‘ডেঙ্গি ৩’-এর দাপট চোখে পড়ে। কিছুদিন আগে পর্যন্তও সেরোটাইপিং পরীক্ষায় বাংলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা ডেঙ্গি রোগীদের মধ্যে 'ডেঙ্গি ৩'- এ আক্রান্ত হওয়ার হার ছিল ৬০ শতাংশ। 'ডেঙ্গি ২'-এ আক্রান্ত ছিল ২৫ শতাংশ। খুবই অল্পসংখ্যক মানুষ সংক্রামিত হচ্ছিলেন ‘ডেঙ্গি ১’ এবং ‘ডেঙ্গি ৪’- এ। মাত্র এক মাসে পরিস্থিতি ঘুরে গিয়েছে। 'ডেঙ্গি ৩'-এ সংক্রামিত হওয়ার হার কমে হয়েছে কমবেশি ৫০ শতাংশ। অন্যদিকে 'ডেঙ্গি ২'-এ আক্রান্তের হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪০ শতাংশে।