পুলিশ সূত্রে খবর রঞ্জন চৌধুরী টলিউডের প্রযোজক ছিলেন করোনার আগে, করোনার সময় ব্যাবসায় ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হবার পরেই এই পথ বেছে নেন। অন্যজন অভিযুক্ত সন্তু মোল্লা ব্যাবসায়ী হলেও এই ঘটনার পিছনে তার ভূমিকা যথেষ্ট বলে পুলিশ সূত্রে খবর। জিএসটি ফাঁকি দেওয়ার নাম করে সিবিআই অফিসার সেজে সোমবার সকাল আটটায় ভবানীপুরের রূপচাঁদ মুখার্জি লেনের রাসায়নিক ব্যাবসায়ী সুরেশ ওয়াধারের বাড়িতে এক ঘণ্টা পনেরো মিনিট লুঠ করে বলে অভিযোগ। তিনটি গাড়ি করে ভবানীপুরের মত জনবহুল এলাকায় এই লুঠের কাজ চলে বলে স্থানীয়দের দাবি। এলাকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে দেখা যায়, একটি গাড়ি, সেই সূত্র ধরেই গ্রেফতার দুই। রঞ্জন নিজেকে সিবিআইয়ের এক শীর্ষ কর্তা বলে পরিচয় দেয়, তারপর বিভিন্ন জায়গায় লুঠ করে বলে অভিযোগ।
advertisement
পুলিশের অনুমান, অভিযুক্তদের কেউ বা কয়েকজন ব্যক্তি ওই ব্যাবসায়ীর ঘরের কী কী জিনিস আছে, তা বিশদে জানতেন। কিন্তু হঠাৎ করে কেন সুরেশ ওয়াধা-র বাড়িতে টার্গেট করল, তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তল্লাশি চলছে বলায় বাড়ির কেউ কিছু করেননি, এমনকি ভুয়ো সিবিআই আধিকারিকেরাও সদস্যদের উপর কোনও জোরাজুরি না করায় সন্দেহ বাড়ছে পুলিশের। এদিকে মঙ্গলবার দুই অভিযুক্তকে আলিপুর আদালতে পেশ করা হলে আগামী ২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেয় আলিপুর আদালত। সরকারি আইনজীবী সৌরিন ঘোষাল আদালতে বলেন, অভিযুক্তদের জিজ্ঞেস করে বাকি অভিযুক্তদের হদিস মিলতে পারে, কারন বাকি অভিযুক্তরা গা ঢাকা দিয়েছে।