সোমবার এমনই নির্দেশ দিয়েছেন হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চ। মামলায় ১৯ জন তৃণমূল নেতার সম্পত্তি বৃদ্ধি নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। বস্তুত, বাংলার নেতা-মন্ত্রীদের সম্পত্তি কীভাবে এত বেশি হারে বাড়ছে, তা কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা খতিয়ে দেখুক, সোমবার এমনই আর্জি জানানো হয়েছিল কলকাতা হাই কোর্টে। সেই মামলাতেই সোমবার ইডিকেও জুড়ে দেওয়ার নির্দেশ দিল হাই কোর্ট।
advertisement
আরও পড়ুন: 'আমিই ওকে এনেছিলাম', পার্থকে নিয়ে মুখ খুললেন শোভনদেব! ফিরে এল পুরনো স্মৃতি
২০১৭ সালে দায়ের ওই জনস্বার্থ মামলায় প্রশ্ন তোলা হয়েছে, ২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে তৃণমূল নেতাদের সম্পত্তি কয়েক গুণ বেশি হয়েছে। কারও কারও সম্পত্তি ১০০০ গুণ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। কীভাবে তা সম্ভব হল, সেই বিষয়টিই ইডিকে খতিয়ে দেখতে আবেদন করা হয়েছে মামলায়।
সোমবার শুনানিতে মামলাকারীদের আইনজীবী শামিম আহমেদ বলেন, কী করে ৫ বছরে তৃণমূল নেতাদের সম্পত্তি বিপুল পরিমাণে বাড়ল, তা খতিয়ে দেখুক ইডি। এর পরই এই মামলায় ইডিকে পক্ষ করার নির্দেশ দেয় কলকাতা হাই কোর্ট। কোন কোন তৃণমূল নেতাদের সম্পত্তি বৃদ্ধি নিয়ে আদালতে প্রশ্ন তোলা হয়েছে?
আরও পড়ুন: দুই বিজনেস ক্লায়েন্টকে তলব, বিধায়কদের লক্ষ-লক্ষ টাকা উদ্ধারে জাল গোটাচ্ছে সিআইডি!
সেই তৃণমূল নেতাদের মধ্যে রয়েছেন শোভন চট্টোপাধ্যায়, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, ফিরহাদ হাকিম, গৌতম দেব, অর্জুন সিং, মলয় ঘটক, জাভেদ খান, অমিত মিত্র, বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়, ব্রাত্য বসু, মদন মিত্র, শিউলি সাহা, সব্যসাচী দত্তর মতো পরিচিত মুখ। এর মধ্যে ২০১১ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত পাঁচ বছরে সব্যসাচী দত্তর আয় বেড়েছে ৪১৬ শতাংশ। জাভেদের অস্থাবর সম্পত্তি বেড়েছে ৪৭৩৪ শতাংশ। জ্যোতিপ্রিয়ের স্ত্রী কোনও পেশার সঙ্গে সে ভাবে যুক্ত না হলেও তাঁর অস্থাবর সম্পত্তি ৭২৯ শতাংশ বেড়েছে।