১২৫ পুরসভায় কার্যত জরিমানা নির্দেশও চাপিয়েছে জাতীয় পরিবেশ আদালত। ১৭ জানুয়ারি ২০২০, জাতীয় পরিবেশ আদালতের প্রিন্সিপাল বেঞ্চ নির্দেশে জানিয়েছে রাজ্যের পুরসভা গুলির কঠিন ও তরল জঞ্জাল নিয়ম মেনে পরিশোধন করা হচ্ছে না। এনভায়রোমেন্ট প্রোটেকশন অ্যাক্ট বিরোধী কাজ হচ্ছে রাজ্যে। নির্দেশে প্রিন্সিপাল বেঞ্চ আরও জানিয়েছে, ৩১ মার্চ ২০২০ মধ্যে রাজ্যের পুরসভা গুলি সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট ব্যবস্থা নিয়ম মেনে কার্যকর করতে না পারলে, ১ এপ্রিল থেকে প্রতিমাসে জরিমানার টাকা গুনতে হবে।
advertisement
পুরসভা গুলির মাসে জরিমানা হবে যথাক্রমে ১০ লাখ, ৫লাখ এবং ১লাখ টাকা। জনসংখ্যার ভিত্তিতে পুরসভাগুলিকে জরিমানা অঙ্ক গুনতে হবে। ১০ লক্ষের বেশি জনসংখ্যার পুরসভায় জরিমানা হবে ১০ লক্ষ টাকা। ৫-১০ লক্ষ জনসংখ্যার পুরসভার জরিমানা হবে ৫ লক্ষ টাকা। আর ৫ লক্ষের কম জনসংখ্যার পুরসভার জরিমানা হবে ১ লক্ষ টাকা। পুরসভা জরিমানা টাকা না দিলে রাজ্য সরকারকে গুনতে হবে জরিমানার টাকা।
মুখ্যসচিবের কার্যালয়ের মধ্যেই এনভায়রোমেন্ট মনিটরিং সেল তৈরি করার নির্দেশ ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০ মধ্যে। পরিবেশবিদ সুভাষ দত্তের কথায়, " পুরভোটের আগে ইস্যু হয়ে দাঁড়াতে পারে আদালতের এই বর্জ্য নির্দেশ। এই নির্দেশের পর পরিবেশ দূষণ মোকাবিলা এখন আর ঐচ্ছিক নয়, রাজ্যের কাছে বাধ্যতামূলক একটি বিষয় হয়ে গেছে।"নিয়ম অনুযায়ী কঠিন বর্জ্য প্রথমে আলাদা করার কথা, পচনশীল এবং অপচনশীল দুইভাবে। সেখান থেকে বৈজ্ঞানিক উপায়ে পচনশীল বর্জ্য থেকে সার তৈরীর ব্যবস্থা করা এবং অপচনশীল বর্জ্যপদার্থ গুলিকে নিয়ম মেনে পরিশোধ করার কথা আইনে বলা আছে। সব পুরসভায় সেই ব্যবস্থা এখনো সঠিকভাবে কার্যকর করতে না পারার কারণে পরিবেশ আদালতের তোপের মুখে রাজ্য। পাশাপাশি রাজ্যের মুখ্যসচিবকে স্বশরীরে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ৪ সেপ্টেম্বর ২০২০।
ARNAB HAZRA