যে চিকিৎসকের অপারেশনের অনুমতিই নেই, তাকে পাঠানো হল অপারেশন থিয়েটারে। তাও তিন বছরের এক শিশুর অত্যন্ত জটিল অপারেশনে। সেই শিশুর মৃত্যুতে সিএমআরআই হাসপাতালকে ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের নির্দেশ স্বাস্থ্য কমিশনের।
পায়ুদ্বারের সমস্যা নিয়ে গুরুতর শারিরীক সংকট নিয়ে শহরের এই নামী বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ১৮ মাসের এক শিশুকে। তার অপারেশন করেন চিকিৎসক ৷ অপারেশনের যোগ্যতাই ছিল না চিকিৎসকের ৷ ওই চিকিৎসক পেডিয়াট্রিক সার্জেনই নন ৷ তাঁর জার্মানির ডিগ্রি থাকলেও এদেশে অপারেশনের অনুমতি নেই ৷ সবটাই জানতেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ৷ তা স্বত্ত্বেও কেন ওই চিকিৎসককে অপারেশনের দায়িত্ব দিল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ? সেটি নিয়ে প্রশ্ন উঠছে ৷
advertisement
নামী এই বেসরকারি হাসপাতালে দীর্ঘদিন থেকেও সুস্থ হয়নি শিশুটি। তখনই স্বাস্থ্য কমিশনের দ্বারস্থ হয় শিশুর পরিবার। পরে অন্য একটি বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয় আজমের।
স্বাস্থ্য কমিশনের শুনানিতেও চিকিৎসকের ব্যাপারে হাসপাতাল তথ্য লুকোতে চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। চূড়ান্ত রায়ে তাই এই বেসরকারি হাসপাতালকে জরিমানার নির্দেশ স্বাস্থ্য কমিশনের। যদিও কমিশনের নির্দেশ মানার ব্যাপারে এদিনই সিদ্ধান্ত জানায়নি বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তাদের তরফে জানানো হয়, ‘স্বাস্থ্য কমিশনের নির্দেশের কপি পাইনি। কপি হাতে পেলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেব ৷’
বিচ্ছিন্ন ঘটনা হিসাবে ধরা যেতেই পারে। কিন্তু রাজ্যের বেসরকারি চিকিৎসা ব্যবস্থার এই ঘটনা যথেষ্টই আশঙ্কার। একইসঙ্গে ডেঙ্গির ভুল রিপোর্ট দেওয়ায় স্পন্দন ডায়াগনস্টিক সেন্টারকেও জরিমানা করেছে স্বাস্থ্য কমিশন।