প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফে দেওয়া চিঠিতে বলা হয়েছে একাধিক স্কুলগুলিতে ছাত্র ও শিক্ষক অনুপাতে সামঞ্জস্য নেই। কোন কোন জেলায় কোন কোন স্কুলে অনুপাতে সামঞ্জস্যতা নেই তা ইতিমধ্যেই চিহ্নিত করেছে পর্ষদ। সেই তালিকা ও বিভিন্ন জেলার প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যানদের পাঠিয়েছে পর্ষদ।সেই তালিকা দেখেই বিভিন্ন জেলার প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যানদের বদলির প্রক্রিয়া শুরু করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
advertisement
মূলত যে স্কুলগুলিতে প্রয়োজনের তুলনায় প্রাথমিক শিক্ষক সংখা কম এবং যে স্কুলে প্রয়োজনের তুলনায় শিক্ষক-শিক্ষিকার সংখ্যা বেশি সেই স্কুলগুলি থেকেই বদলির প্রক্রিয়া শুরু করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে বদলির প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রেও সতর্ক প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফে দেওয়া চিঠিতে বলা হয়েছে বিতর্ক এড়ানোর জন্য বদলি প্রক্রিয়া ক্ষেত্রে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের মতামত নিতে পারে পর্ষদের চেয়ারম্যানরা। যদিও কত সংখ্যক বদলি করা হল তা নিয়ে বিভিন্ন জেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যানদের রিপোর্টও দিতে বলা হয়েছে পর্ষদকে।
ইতিমধ্যেই মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে স্কুলগুলিতে বদলি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। যদিও কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ এই ছাত্র ও শিক্ষক অনুপাত বজায় রাখতে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বদলি প্রক্রিয়া করছে স্কুল শিক্ষা দফতর।এবার সেই পথে হেঁটেই প্রাথমিক স্কুলগুলিতেও ছাত্র-শিক্ষক অনুপাতে বজায় রাখতে চায় পর্ষদ।
যদিও বিভিন্ন জেলার প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষা সংসদ গুলি কত সংখ্যক শিক্ষকদের বদলি করছেন তার রিপোর্টও প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চ প্রাথমিক শিক্ষকদের চাকরি বাতিলের যে নির্দেশ দিয়েছে তা নিয়ে আইনি লড়াই হবে বলেও পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল জানিয়েছিলেন। সেই পরিস্থিতিতে প্রাথমিক শিক্ষকদের বদলি প্রক্রিয়া শুরু করার নির্দেশকে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও এই বিষয় নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি পর্ষদ সভাপতি। পর্ষদ সূত্রে খবর কয়েক হাজার স্কুলে ছাত্র – শিক্ষক অনুপাত সমঞ্জস্যতা নেই প্রাথমিক স্কুলগুলিতে। সেক্ষেত্রে গরমের ছুটির মধ্যে যাতে বদলি প্রক্রিয়া শুরু করা যায় সে বিষয়েও ইতিমধ্যেই তৎপরতা শুরু করেছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।
সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়