মহামারীর সবচেয়ে বড় প্রভাব অনুভূত হয়েছে বিভিন্ন উদীয়মান শিল্প ও প্রযুক্তিগত ক্ষেত্রে। এরই সঙ্গে এইচআর টেকের উত্থানে প্রযুক্তিগত কর্মসংস্থানে বড়সড় পরিবর্তন এসেছে। নতুন এই কর্মসংস্কৃতিতে হাইব্রিড ওয়ার্ক কালচারকে পরিচালনা কররা মাধ্যমে সক্রিয় ভাবে সমাধান করার চেষ্টা করছে।
তবে এতেও প্রভাবিত হয়েছে বিভিন্ন দেশি থেকে আন্তর্জাতিক কর্মসংস্থা। দূর সংস্থান থেকে সঠিক প্রতিভা অন্বেষণ ও কর্মক্ষেত্রে তাদের নিয়ন্ত্রণ করা এখন আর শ্রমসাধ্য নয়। বিশেষ করে মহামারী পরবর্তীতে আগের মতো সরাসরি অফিসের সেটআপে কর্মী নিয়োগের ব্যবস্থা শেষ হতে চলেছে।
advertisement
ভার্চুয়াল রিক্রুটমেন্ট অনেক সংস্থারই নতুন-যুগের নিয়োগের নীতিকে সংজ্ঞায়িত করে তুলেছে। ভার্চুয়াল রিক্রুটমেন্টের পাশাপাশি কোম্পানিগুলি প্রি-এমপ্লয়মেন্ট অ্যাপ্টিটিউড, কগনিটিভ, ডোমেইন, সাইকোমেট্রিক টেস্ট, ভার্চুয়াল ইন্টারভিউ, ডেটা-ড্রাইভিং ক্যাম্পাস হায়ারিং, কম্পিটেন্স ফ্রেমওয়ার্ক এবং জব-রোল ম্যাপিংয়ের মতো নানা টুল ব্যবহার করে কর্মী নিয়োগ করছে।
ভার্চুয়াল জব ইন্টারভিউ: ভার্চুয়াল চাকরির ইন্টারভিউ সাধারণত মহামারীর আগে পর্যন্ত ব্যবহৃত অন্যতম পদ্ধতি ছিল। পার্সোনাল ইন্টারভিউগুলি সাধারণত এতে ব্যাপক ভাবে গ্রহণ করা হত। এটি মূলত নিয়োগকারীরা ইন্টারভিউয়ের সময় পুনঃনির্ধারণ বা বাতিল করার সুবিধের জন্য ব্যবহার করতেন।
অবস্থান আর বাঁধাধরা নয়: নিয়োগকারীরা আর কোম্পানির নির্দিষ্ট সীমারেখার মধ্যে এমপ্লয়িদের হায়ার করছে না। এতে কোম্পানির এক দিকে যেমন অসংখ্য প্রার্থীদের মধ্যে সেরা প্রার্থীদের খুঁজে নিতে অসুবিধে হয় না, তেমনই প্রার্থীরাও যে কোনও প্রান্তদেশ থেকে সেরা অফার গ্রহণ সক্ষম হন।
নতুন নতুন কর্মসংস্থান: প্রাক-মহামারী পর্বের বিভিন্ন স্টার্ট-আপ বিজনেসে এখন অনেকেই আর উৎসাহ দেখাচ্ছেন না। কর্মসংস্থানে নিশ্চয়তা বজায় রাখতে অনেকেই এখন বড় কোম্পানিতে ভরসা রাখছেন, এতে নতুন নতুন কর্মসংস্থান তৈরি হচ্ছে।
এমপ্লয়ি মার্কেট: নমনীয় সময়সূচী, হেলথ এবং বিভিন্ন ওয়েলনেস প্রোগ্রাম ইত্যাদির মতো আকর্ষণীয় সুবিধা প্রদানের মাধ্যমে কোম্পানি সক্রিয় ভাবে চাকরিপ্রার্থীদের উৎসাহ করছে তাদের কোম্পানিতে যোগদানের জন্য। এখন আর আগের মতো কোম্পানির বিভিন্ন প্রলোভনে পা না দিয়ে প্রার্থীরা কাজের চাপ, পরিবেশ ইত্যাদিতে অনেক বেশি মনোযোগ দিচ্ছেন।
বর্তমান কর্মসংস্থানের বাজার আগের তুলনায় এখন অনেক বেশি উন্মুক্ত ও সুযোগসন্ধানী। তবে কর্মসংস্থানের আগের ভরসাযোগ্য পরিবেশকে ফিরিয়ে আনতে কোম্পানি ও কর্মী উভয়পক্ষকেই আরও সহানুভূতিশীল হতে হবে।