কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, ইতিমধ্যে তদন্তের স্বার্থে এক রাজনৈতিক নেতাকে ইমেল পাঠিয়ে তলব করা হয়েছে। সূত্রের খবর, আগামী দিনে আরও বেশ কয়েকজনকে তলব করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে সিবিআইয়ের অন্দরে। তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই সূত্রে দাবি, শুধুমাত্র নিয়োগকর্তা নন, এই বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের সামিল অনেকেই।
আরও পড়ুন: কাঁড়ি কাঁড়ি টাকায় নামিদামি প্রোডাক্ট ফেল? ফাটা গোড়ালির যত্নে ধন্বন্তরি 'এই' ঘরোয়া 'উপায়'
advertisement
ইতিমধ্যে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে বেশ কয়েকজন অধ্যাপক ও স্কুল শিক্ষকের। যারা অযোগ্য তাদের চাকরি পাইয়ে দিতে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে তাদের ভূমিকা পাওয়া গিয়েছে, তাই তাদের তলব করে বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে। এমনভাবে জেলাস্তরে রাজনৈতিক মদতপুষ্ট লোকেদেরও মধ্যস্থতাকারী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
এদিকে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি-কাণ্ডে বুধবারও জামিন পেলেন না মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্য়ায়। তবে, এদিন বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির কড়া প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে সিবিআই-কেও। নিয়োগ দুর্নীতিতে আর্থিক লেনদেন হয়েছে কি না, সেই কথা তুলে বিচারপতির কটাক্ষ, "অযোগ্যদের নিশ্চই ভালবেসে চাকরি দেওয়া হয়নি!"
এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে একটানা সিবিআইয়ের জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়তে হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি কল্যাণময়কে। তাঁর উত্তরে সন্তুষ্ট না হওয়ায় গত বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। সিবিআই অভিযোগ করে, ২০১০ সাল থেকে টানা প্রায় ১০ বছর মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি ছিলেন কল্যাণময়। সেই সময়ে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে তাঁর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। এর আগে বিশেষ সিবিআই আদালত ও হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চেও জামিনের আবেদন করেছিলেন কল্যাণময়। তা খারিজ করে করে দেয় আদালত। এরইমধ্যে একের পর এক মধ্যস্থতাকারীকে ডাকা হচ্ছে সিবিআই জেরায়। চলছে বয়ান রেকর্ড।
অমিত সরকার