স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার এই প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, “কাউন্সিলিং টেবিলে বসেই সব চাকরি প্রার্থীরা জানতে পারবেন কোন চাকরি প্রার্থী কোন স্কুল পছন্দ করছেন।” এসএসসি আধিকারিকদের দাবি যাতে সব চাকরিপ্রার্থীদের সামনে গোটা বিষয়টি নিয়ে স্বচ্ছতা থাকে তার জন্যই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এতদিন ধরে কাউন্সিলিং প্রক্রিয়ায় শুধুমাত্র কোন চাকরিপ্রার্থী কোন স্কুল পছন্দ করছেন সেটি তিনি এবং এসএসসির আধিকারিকরাই জানতে পারতেন। কিন্তু তা জানানো হতো না অন্যান্য চাকরিপ্রার্থীদের। এবার মূলত চাকরি প্রার্থীদের সামনে গোটা প্রক্রিয়াটি স্বচ্ছতা রাখার জন্য এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে এসএসসি।
advertisement
আরও পড়ুন: পারদ পতন বাংলায়…! এক ধাক্কায় ২/৩ ডিগ্রি কমবে তাপমাত্রা? মেগা আপডেট দিল আইএমডি
পাশাপাশি গোটা প্রক্রিয়া থেকেই ভিডিওগ্রাফি করা হচ্ছে এসএসসি তরফে।ইতিমধ্যেই কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কাউন্সিলিং করা গেলেও রেকমেন্ডেশন লেটার বা সুপারিশ পত্র দিতে পারবে না স্কুল সার্ভিস কমিশন। তার জন্য গতকাল থেকে স্কুল সার্ভিস কমিশন কাউন্সেলিং এ আসা চাকরিপ্রার্থীদের সম্মতিপত্র দিচ্ছে। এই সম্মতিপত্রে কোন প্রার্থী কোন স্কুল চয়েস করছেন তার বিস্তারিত উল্লেখ করা থাকছে।
আগামী দিনে হাইকোর্ট সবুজ সংকেত দিলে রেকমেন্ডেশন লেটার বা সুপারিশ পত্র দেওয়ার ব্যাপারে তখন এই সম্মতিপত্র নিয়ে আসতে হবে কাউন্সেলিংয়ে থাকা চাকরি প্রার্থীদের। স্কুল সার্ভিস কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে গতকাল থেকে যে কাউন্সিলিং প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে সেখানে ১০০ শতাংশ প্রার্থীর উপস্থিতি ছিল না। মোট এর উপর ৮০ শতাংশের কাছাকাছি প্রার্থীর উপস্থিতি ছিল গতকাল অর্থাৎ সোমবার।
সোমবারের পর মঙ্গলবার অর্থাৎ এদিনও স্কুল সার্ভিস কমিশনের উচ্চ প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়ার কাউন্সিলিং চলছে। আপাতত চলতি সাতটায় কাউন্সেলিং হলেও আগামী সপ্তাহে কালীপুজো ও দীপাবলীর ছুটির জন্য বেশ কয়েকদিন বন্ধ থাকবে উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়ার কাউন্সিলিং।
যদিও দীর্ঘ আট বছর বাদে এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় আশার আলো দেখলেও অনেক চাকরিপ্রার্থী অবশ্য আক্ষেপ করেছেন শিক্ষকতার চাকরিজীবনের অনেক বছরই তাদের হারিয়ে গেল। অন্যদিকে, দীর্ঘ এক বছরেরও বেশি সময়সীমা ধরে মাতঙ্গিনী হাজরা মূর্তির পাদদেশে আন্দোলনরত উচ্চ প্রাথমিকের চাকরি প্রার্থীরা অবশ্য স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন স্কুলে নয়া শিক্ষক শিক্ষিকা যোগ না দেওয়া পর্যন্ত তাদের নিয়োগের দাবিতে আন্দোলন চলবেই।
সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়