নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ আদালতের। সিবিআই রিপোর্ট পেশ করে আদালতে। গ্রুপ ডি, গ্রুপ সি, নবম-দশম, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষক নিয়োগে মোট ৮১৬৩ OMR কারচুপির অভিযোগ। সিবিআই রিপোর্ট দিয়ে জানায়, NYSA সংস্থার মাদার সার্ভারের সঙ্গে এসএসসি সার্ভারের নম্বরের পার্থক্য ৮১৬৩ OMR শিটে। ইতিমধ্যে ১৯১১ গ্রুপ ডি চাকরি বাতিল হয় ওএমআর বিকৃতির কারণে। গ্রুপ ডি নম্বর কারচুপি ১ বা ২ নম্বরের সংখ্যাও অনেক। সেগুলি হাতে-কলমে পরীক্ষা করবে কমিশন।
advertisement
নবম-দশম শ্রেনীর শিক্ষক নিয়োগে ৯৫২ OMR শিট বিকৃত হওয়ার তথ্য জানায় সিবিআই।৮০৫ নম্বর কারচুপি প্রাথমিক ভাবে মেনে নেয় এসএসসি। এদের মধ্যে ৬১৮ জনের সম্ভাব্য চাকরি বাতিলের তালিকা প্রকাশ করে এসএসসি। ১৮৭ বিকৃত OMR শিটে নাম্বার কারচুপি ১, ২ বা ৩ নম্বরের। এই কম নম্বরের কারচুপির OMR হাতে কলমে পরীক্ষা করে দেখতে চায় এসএসসি।
মেশিনে ওএমআর যাচাইয়ে ত্রুটি থেকে যেতে পারে। বিশেষ করে অ্যানসার স্ট্রিং অনেক সময় অল্প বিস্তর ত্রুটি বিচ্যুতি হয়। ধরা যাক একজন পরীক্ষার্থী ৪৮ পেয়েছেন। ২ নম্বর বৃদ্ধি দেখানো হলো এসএসসি সার্ভারে। এসএসসি যুক্তি,যিনি আসলে ৪৮ পেয়েছেন তিনি ৫০ পেতেই পারেন। এমন কম নম্বরের কারচুপির তথ্য খতিয়ে দেখতে আর কম্পিউটার বা মেশিন নয় হাতে-কলমে এবার যাচাই করতে চায় কমিশন।
সম্প্রতি একটি নিয়োগ মামলায় বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর বেঞ্চে হলফনামা দেয় কমিশন। সেখানে কমিশন জানায়, নম্বর কারচুপি যেখানে বেশি সেগুলি প্রথমে খতিয়ে দেখে এসএসসি রুল এর ১৭ নম্বর ধারা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তুলনায় যে পরীক্ষার্থীদের কম নম্বর বৃদ্ধি তাদের ওএমআর পরো ধাপে ধাপে খতিয়ে দেখা হবে। এই কম নম্বরের কারচুপির তথ্য এবার হাতে-কলমে যাচাই করতে চায় এসএসসি বলে সূত্রের দাবি।
আইনজীবী সুদীপ্ত দাশগুপ্ত জানান, এসএসসি অনেক পরীক্ষার্থী প্রশ্ন ভুলের মামলা করেছেন। অনেকের মামলা করে নম্বর বৃদ্ধি হয়েছে। যদিও তা কম মার্জিনের। এসএসসি এমন পদক্ষেপের দিকে আমরা নজর রাখব। আর এক আইনজীবী ফিরদৌস সামিম জানান, এসএসসি হাতে-কলমে ওএমআর যাচাই করতেই পারে। তবে মেশিনের ঘাড়ে একতরফা দোষ চাপিয়ে দেওয়া যাবে না। আমরা নজর রাখছি পরিস্থিতির দিকে।