"এই OMR যে আমাদের OMR সেটা কে নিশ্চিত করল? এখন তো বিভিন্ন সফটওয়্যার ব্যবহার করে এই ধরনের নথি বিকৃত করা যায়। আমাদের OMR যে বিকৃত করা হয়নি তার নিশ্চয়তা কোথায়? - প্রশ্ন চাকরিহারাদের। এই OMR গুলি তো NYSA র অফিস থেকে উদ্ধার হয়নি, এগুলি তো তাদের এক প্রাক্তন কর্মীর বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে। এর যথার্থতা কে মূল্যায়ন করল ? - ডিভিশন বেঞ্চের কাছে প্রশ্ন চাকরিহারাদের।
advertisement
এদিন শুনানি চলাকালীন ঠাট্টার ছলে বিচারপতি সুব্রত তালুকদার বলেন, "এই মামলার নথির যা ওজন তাতে দেহের ওপরের অংশের জন্য আলাদা করে কোনও ব্যায়াম করতে হবে না, বাইসেপ - ট্রাইসেপ, কাঁধের ব্যায়াম এমনিতেই হয়ে যাবে। একটু হাঁটাহাঁটি করলে পায়ের ব্যায়ামটা হয়ে যাবে।"
আরও পড়ুন: সর্ষের তেলের দামে মহাপতন! লিটার প্রতি Rate কত? জেনে নিন আজকের দর...
মামলায় সওয়াল করে আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, "এই ডিভিশন বেঞ্চ তার রায়ে জানিয়েছিল যে এটা একটা Public Scam. আদালতের এই নির্দেশ কোথাও চ্যালেঞ্জ হয়নি। কেউ এগিয়ে এসে বলেননি যে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় গলদ ছিল। আদালতের চাপে সব তথ্য বাইরে আসছে।"
তিনি আরও বলেন "মামলাকারিরা প্রশ্ন তুলছেন যে আপনারা যে OMR আপলোড করেছেন সেগুলি .jpg ফরম্যাটে আছে, যেগুলি বিকৃত করা সম্ভব। এ বিষয়ে আপনাদের কি বলার আছে? সিবিআইয়ের দেওয়া রেকর্ড আপনারা কিসের ভিত্তিতে গ্রহণ করলেন? এই মর্মে কমিশনকে প্রশ্ন করেন বিচারপতি তালুকদার।
আদালতে স্কুল সার্ভিস কমিশন জানায়, "নথি সবসময়ই বিকৃত করা সম্ভব, কিন্ত প্রশ্ন হল সেটা করা হয়েছে কিনা? সিবিআই আমাদের যে নথি দিয়েছে সেটা আমরা খতিয়ে দেখে তারপর আমাদের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যা ভুল আগে হয়েছে সেটা আমরা সংশোধন করার চেষ্টা করছি।"
আদালত এই মামলায় সিবিআইকে পার্টি করার নির্দেশ দিয়েছে। আগামিকাল ফের মামলার শুনানি।