মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট উত্তরপত্র প্রকাশের নির্দেশে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেয়। তারপর গতকাল স্কুল সার্ভিস কমিশনের তরফে ৯০৭ জনের নাম এবং রোল নম্বর প্রকাশ করা হয়েছে। কলকাতা হাইকোর্টে করা একটি মামলায় গত ৭ জুলাই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছিলেন ২০১৬ সালে একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির নিয়োগ প্রক্রিয়ায় যে ৫৫০০ জনকে চাকরি দেওয়া হয়েছিল তাঁরা-সহ ওয়েটিং লিস্টে থাকা চাকরি প্রার্থীদের উত্তরপত্র প্রকাশ করতে হবে কমিশনকে।
advertisement
আরও পড়ুন: ‘তৃতীয় বার যদি ক্ষমতায় ফিরি…’, ২০২৪-এর আগে বিরাট গ্যারান্টি দিলেন মোদি
উত্তরপত্রের পাশাপাশি নাম, বাবার নাম, ঠিকানা, স্কুলের নাম-সহ ৯০৭ জনের তালিকা প্রকাশ করতে হবে যাঁদের বিকৃত উত্তরপত্র উদ্ধার করেছিল সিবিআই। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হন চাকরি প্রার্থীরা। ডিভিশন বেঞ্চ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশই বহাল রাখে। এরপর এসএসসি এবং চাকরি প্রার্থীরা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন। মঙ্গলবার সেই মামলার শুনানিতে উত্তরপত্র প্রকাশ বিষয় এক সপ্তাহের অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে। সেই মামলার সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরপরই বুধবার স্কুল সার্ভিস কমিশনের তরফে ৯০৭ জনের শিক্ষকের নাম ও রোল নম্বর-সহ তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।
অন্যদিকে উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগ প্রক্রিয়া মামলা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের হলফনামা দিতে চলেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন, খবর কমিশন সূত্রে। গত ৮ বছর ধরে উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগ প্রক্রিয়া চলছে। ১৪ হাজারেরও বেশি শূন্যপদ রয়েছে এই নিয়োগের ক্ষেত্রে। ইতিমধ্যেই কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে এসএসসি বলেই দাবি আধিকারিকদের।