এদিন সাংবাদিক বৈঠকে পর্ষদ সভাপতি জানান, "টেট ২০১৪ এ ১ লক্ষ ২৪ হাজার ৯৫২ জন উত্তীর্ণ হয়েছিলেন ২০ লক্ষের বেশি পরীক্ষার্থীদের মধ্য থেকে। নিয়োগের জন্য ১.১৮ হাজারের বেশি পরীক্ষার্থী রয়েছেন। তিনি আরও জানান, ২০২০-২১ এ ১৬৫০০ জনের নিয়োগের জন্য সরকার শূন্যপদ দিয়েছিল। ১৩৬৮৫ জন কে এম্প্যানেলেড করা হয়েছিল। এর মধ্যে চাকরিতে যোগ দেন ১৩৫৬৪ জন।
advertisement
প্রাইমারি শিক্ষা পর্ষদের নবনিযুক্ত সভাপতি গৌতম পাল একইসঙ্গে এদিন বলেন, "টেট নিয়ে বিভিন্ন ভাবে ভুল বার্তা ঘোরাফেরা করছে। এই সংক্রান্ত অনেক ইস্যু বিচারাধীন রয়েছে। ২০১৬ সালের rules অনুযায়ী নিয়োগ করা হবে। ২০১৪, ২০১৭ সালের সকল টেট উত্তীর্ণরা কিন্তু নিয়োগের জন্য আবেদন করতে পারবেন। আমি সব গ্রুপ এর সাথে কথা বলেছি।"
একইসঙ্গে গৌতম পাল জানান, "জানুয়ারি মাসে আমরা আবার নিয়োগ এর জন্য পোষ্ট চাইব।তবে টেট পাস করা মানে চাকরি করা, এটা ঠিক নয়। টেট ২০১৪, ২০১৭ সালে পাস করেছি বলেই চাকরি পাবো সেটা ঠিক নয়। টেট যোগ্যতা মান পরীক্ষা।
আগামী ২১ শে অক্টোবর থেকে নিয়োগের জন্য অনলাইনে আবেদন করা যাবে। তবে মঙ্গলবারের সাংবাদিক বৈঠকে এই পরিসংখ্যান কেন দিলেন পর্ষদ সভাপতি তা নিয়ে অবশ্য কোনও মন্তব্য করতে চাইলেন না তিনি। একাংশের ব্যাখ্যা এখনও পর্যন্ত কত সংখ্যক টেট উত্তীর্ণ প্রার্থী রয়েছেন সেই পরিসংখ্যান স্পষ্ট করতেই এদিন এই পরিসংখ্যান দেওয়া হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও চাকরিপ্রার্থীদের একাংশের দাবি এখনও পর্যন্ত যত সংখ্যক টেট উত্তীর্ণ প্রার্থী রয়েছেন তাদের মধ্যে অনেকেই বয়স ৪০ পেরিয়ে গিয়েছে।