২০১৪ সালে প্রাথমিকের টেট দিয়েছিল ২০,০১,৩০১ জন পরীক্ষার্থী। তার মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছিল ১,২৪,৯৫২ জন। ২০১৬ সালের নিয়োগের জন্য আবেদন করেছিল ১,১৮,৮২১ জন। আবেদনকারি পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ৪২৬২৭ জন মেধা তালিকায় সফল হয়েছিল। পাশাপাশি ২০২০ ২১ এর নিয়োগের জন্য ২৯৬৬৫ জন আবেদন করেছিলেন। যার মধ্যে থেকে ১৩৬৮৫ জন সফল হয়েছিলেন। এর মধ্যে ১৩৫৬৪ জন কে নিয়োগ পত্র দেওয়া হয়েছিল। যাদের ইনক্লুড করা হয়নি তাদের সংখ্যাটি ১৬১০১ জন।
advertisement
২০১৭ সালের টেটের জন্য আবেদন করেছিল ১,৮৯,৫১৪ জন। যার মধ্যে পাশ করেছে ৯৮৯৬ জন।এদিন পর্ষদ সভাপতি গোটা পরিসংখ্যানটি তুলে ধরেন। পাশাপাশি তিনি বলেন " যারা ২০১৪ এর নন ইনক্লুডেড প্রার্থী তারা দেখছি আন্দোলন করছেন। কিছু বার্তা ঘোরাফেরা করছে। আমরা আইন মেনেই নিয়োগ করব। যাদের বয়স রয়েছে আবেদন করব তারা যেন নিয়োগের জন্য আবেদন করেন। স্বচ্ছতা মেনেই আমরা নিয়োগ করব।"
২০১৪ এর যারা নন ইনক্লুডেড প্রার্থী তাদের অনেকের বয়স পেরিয়ে গেছে বলেও প্রশ্ন করা হয় পর্ষদ সভাপতি কে। তিনি অবশ্য এর উত্তরে বলেন "এই সংক্রান্ত বেশ কিছু বিষয় বিচারাধীন রয়েছে তাই এ নিয়ে কোন মন্তব্য করব না।" পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, পর্ষদ কোনও আইন প্রণয়ন করে না। আইন প্রণয়ন করে স্কুল শিক্ষা দফতর। এনসিটিইর নিয়ম মেনে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে।" কবে নিয়োগ দিয়ে কোনও বাধা দিলে সময় পেরিয়ে যায় বলেও এদিন আক্ষেপ করেন পর্ষদ সভাপতি। ১১ হাজারেরও বেশি শূন্যপদ এই নিয়োগের জন্য পেয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।
আরও পড়ুন : বছরে দু'বার নিয়োগ! 'টেট' নিয়ে বড় আপডেট দিলেন পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল
আগামী ২১ শে অক্টোবরের থেকে নিয়োগের জন্য অনলাইনে আবেদন করা যাবে। তবে মঙ্গলবারের সাংবাদিক বৈঠকে এই পরিসংখ্যান কেন দিলেন পর্ষদ সভাপতি তা নিয়ে অবশ্য কোনও মন্তব্য করতে চাইলেন না তিনি। একাংশের ব্যাখ্যা এখনও পর্যন্ত কত সংখ্যক টেট উত্তীর্ণ প্রার্থী রয়েছেন সেই পরিসংখ্যান স্পষ্ট করতেই এদিন এই পরিসংখ্যান দেওয়া হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও চাকরিপ্রার্থীদের একাংশের দাবি এখনও পর্যন্ত যত সংখ্যক টেট উত্তীর্ণ প্রার্থী রয়েছেন তাদের মধ্যে অনেকেই বয়স ৪০ পেরিয়ে গিয়েছে।
সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়