বিশ্বব্যাপী প্রায় ১১ হাজার কর্মচারী কাজ করেন জোহোতে। গত জুলাই মাসে প্রায় ২০০০ নতুন কর্মী নিয়োগের ঘোষণা করেছিল তারা। ভেম্বু জানিয়েছেন, আগের ঘোষণা অনুযায়ী বেশিরভাগ কর্মী নিয়োগ করা হয়েছে।
‘আমরা এখনও নিয়োগ করছি’: একটি সাক্ষাৎকারে শ্রীধর ভেম্বু বলেন, ‘আমরা এখনও লোক নিয়োগ করছি। তবে আগের তুলনায় কম’। এরপরই কর্মীদের আশ্বস্ত করে তিনি বলেন, ‘চিন্তার কোনও কারণ নেই। কর্মীদের চাকরি নিরাপদ’।
advertisement
আরও পড়ুনঃ শুধু জামাকাপড় নয়, সাবান আপনার ভাগ্যও উজ্জ্বল করতে পারে, রয়েছে মালামাল হওয়ার সুযোগ!
প্রযুক্তি সংস্থাগুলির জন্য কঠিন সময়: গত কয়েকমাস ধরেই প্রযুক্তি শিল্পে টালমাটাল পরিস্থিতি চলছে। নাসডাক কম্পোজিট সূচক, যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রযুক্তির স্টকগুলির সঙ্গে যুক্ত, এই বছর প্রায় ৩০ শতাংশ কমে গিয়েছে। পাবলিক মার্কেটে তহবিল প্রায় তলানিতে। বেশিরভাগ প্রযুক্তি কোম্পানি বর্তমান সময়ে মূলধন সংগ্রহ করাকেও কঠিন বলে মনে করছে। কারণ বিনিয়োগকারীরা এমন অর্থনৈতিক অবস্থার মধ্যে নতুন বিনিয়োগের দিকে ঝুঁকছেন না বললেই চলে। বরং যেখানে বিনিয়োগ ইতিমধ্যেই রয়েছে সেগুলোকে ধরে রাখতে চাইছেন।
বেশিরভাগ প্রযুক্তি সংস্থাই নগদ সংকটে ভুগছে। ফলে বিভিন্ন খাতে খরচ কমাচ্ছে। বিপণন ব্যয় আটকানো থেকে শুরু করে কর্মীদের ছাঁটাই পর্যন্ত, যেন তেন প্রকারেণ আর্থিক স্বাস্থ্যের উন্নতি নিশ্চিত করাই এখন মূল লক্ষ্য কোম্পানিগুলির।
প্রসঙ্গত, স্টার্ট আপ কোম্পানি থেকে আইটি জায়ান্টদের মধ্যে জায়গা করে নিয়েছে জোহো। ধূমকেতুর মতো উত্থান। বর্তমানে কোম্পানিটি সেলসফোর্স, গুগল, মাইক্রোসফট এবং ওরাকলের মতো টেক জায়ান্টদের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে। জোহোর ৫০টি পণ্য রয়েছে। এতে অফিসের সফটওয়্যার প্রয়োজনীয়তা, যেমন- এন্টারপ্রাইজ ইন্টেলিজেন্স, ফিনান্স, গ্রস সেলস, বিজ্ঞাপন এবং গ্রাহক সহায়তার মতো বিভিন্ন সফটওয়্যার প্রোগ্রাম অন্তর্ভুক্ত।