২০১৪ সাল থেকে আজকের তারিখ পর্যন্ত ভারতীয় রেলওয়েতে রেকর্ড সংখ্যক, ৫ লক্ষেরও বেশি নিযুক্তি সম্পন্ন করা হয়েছে। এই নিয়োগগুলি মেকানিক্যাল, ইলেকট্রিক্যাল, সিভিল, সিগন্যাল ও টেলি কমিউনিকেশন ইত্যাদি বিভিন্ন বিভাগে অ্যাসিস্ট্যান্ট লোকো পাইলট, স্টেশন মাস্টার, ট্রেন ম্যানেজার, জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার, টেকনিশিয়ান, কমার্শিয়াল ক্লার্ক, ট্র্যাক মেইন্টেনার, পয়েন্টম্যান, অ্যাসিস্ট্যান্ট ইত্যাদির মতো বিভিন্ন শ্রেণিতে করা হয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন: আর লুকোছাপা নয়! বেবি-বাম্প নিয়েই বিরাটের সঙ্গে হোটেল লবিতে অনুষ্কা, দ্বিতীয় সন্তানের জন্ম কবে?
কম্পিউটার ভিত্তিক পরীক্ষার মাধ্যমে অনলাইনে এই নিয়োগ পরিচালনা করা হয়েছে। ২০২০-এর ডিসেম্বর মাস থেকে ২০২১-এর জুলাই মাস পর্যন্ত সময়ের মধ্যে অনুষ্ঠিত সমস্ত রেলওয়ে পরীক্ষায় রেকর্ড সংখ্যক ২.৩৭ কোটি চাকরি প্রার্থী (নন-টেকনিক্যালের জন্য ১.২৬ কোটি এবং আরআরসি গ্রুপ-ডি-এর জন্য ১.১১ কোটি) অবতীর্ণ হয়েছিলেন। বার্ষিক গড় হিসেবে ১ কিলোমিটার ট্র্যাক নির্মাণের জন্য প্রায় ৩৩,০০০ মানব দিবস কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়।
আরও পড়ুন: আমরা কেন আমড়া খাব জানেন? হাজারো মারণরোগের দাওয়াই এই অনাদরের ফল, জানুন
এর ফলে প্রতি দিন প্রতি কিলোমিটার ৯০.৪১ মানব দিবস কর্মসংস্থান তৈরি হয়। বিগত এক বছরে ভারতীয় রেলওয়েতে ৫,৬০০ কিলোমিটার ট্র্যাক নির্মাণ করা হয়েছে। সুতরাং, প্রতি দিন ৫ লক্ষেরও অধিক মোট মানব দিবস সৃষ্টি হয়। এর পাশাপাশি কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য ভারতীয় রেলওয়ে ব্যাপক পরিসরে ওএইচই, সিগনালিং, পিইউ এবং পিএসইউ, স্টেশন পুনর্বিকাশের কাজ ইত্যাদির মতো বৃহৎ আকারের পরিকাঠামোর কাজ করছে।
এর ফলে বিগত এক বছরে সহযোগী ফিডার ইকোনমিক সেক্টরে প্রায় ৩৫ লক্ষ নিয়োগ সৃষ্টি হয়েছিল। ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে ভারতীয় রেলওয়ের পরিকাঠামোমূলক উন্নয়নের জন্য ২.৬ লক্ষ কোটি টাকা মূলধন বরাদ্দ করা হয়েছে। ২০২৩-এর সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ব্যয় ১৫০৪৪৪ কোটি টাকা (বিজি-র ৫৮ শতাংশ), অন্যদিকে ১০২৮৮১ কোটি টাকা (সেপ্টেম্বর, ২০২২ পর্যন্ত বিজি-র ৪৩ শতাংশ), অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় ৪৬ শতাংশের বৃদ্ধি ঘটেছে। এর ফলে ভারতীয় রেলওয়েতে কর্মসংস্থান তৈরির ক্ষেত্রে সহায়ক হয়েছে।
আবীর ঘোষাল