গুগল-এ প্রায় সাড়ে ১৬ বছর কাজ করার পরে এমনই ই-মেল পেয়েছেন জাস্টিন মুর নামে ওই ব্যক্তি। চাকরি হারানোর ভয়াবহ অমানবিক সেই অভিজ্ঞতার কথা নিজের লিঙ্কড ইন প্রোফাইলে শেয়ার করেছেন তিনি।
আরও পড়ুন: রাত ২টোর সময় অসমের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে হঠাৎ ফোন! ওপার থেকে ভেসে এল 'শাহরুখ খান বলছি..'
সেই পোস্টে জাস্টিন জানিয়েছেন, ওই কটা শব্দ ছাড়া, তাঁকে কোনও অফিশিয়াল চিঠি বা নথি দেওয়া হয়নি সংস্থার তরফে। হঠাৎ করেই তিনি আবিষ্কার করেছেন, তিনি আর সাইটে ঢুকতে পারছেন না, অর্থাৎ,গুগলের জন্য কাজ করার অথরিটি সরিয়ে নেওয়া হয়েছে তাঁর কাছ থেকে। এ ছাড়া আর কিছুই জানানো হয়নি। কোনও কথা নয়, কোনও চিঠি নয়, না কোনও উপযুক্ত ই-মেল।
advertisement
ফেসবুক, অ্যামাজন, মাইক্রোসফটের পরে কর্মী ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে গুগলের পেরেন্ট সংস্থা অ্যালফাবেট। আমেরিকা তো বটেই, বিশ্বজুড়ে একাধিক দেশে ১২ হাজার কর্মী ছাঁটাই করবে গুগল। প্রসঙ্গত, কদিন আগেই ১০ হাজার কর্মী সংকোচনের কথা জানিয়েছিল মাইক্রোসফট। অন্যদিকে, দুর্বল পারফরম্যান্সের জন্য ৪৫০ জন শিক্ষানবিশের চাকরি থেকে বরখাস্ত করল উইপ্রো-ও।
নিজের খোলা চিঠিতে সংস্থার সিইও সুন্দর পিচাই জানিয়েছিলেন, গুগল নিজের প্রোডাক্ট, কর্মী ইত্যাদি পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে বিবেচনা করেছে। তারপরেই এই কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে এই সংস্থা। আমেরিকায় কর্মরত যে সমস্ত কর্মী এই পর্যায়ে কাজ হারিয়েছেন, তাঁদের ব্যক্তিগত ভাবে ই-মেল পাঠানো হয়েছে। অন্যান্য দেশেও এই প্রক্রিয়া দ্রুত শুরু হবে বলে জানিয়েছেন পিচাই। গোটা ঘটনার দায় শিকার করে পিচাই জানিয়েছেন, যে সমস্ত গুগল কর্মীদের বিদায় জানাতে হচ্ছে, এই সংস্থার বৃদ্ধিতে তাঁদের অবদান সবসময় মনে রাখা হবে।
চিঠিতে জানানো হয়েছে, প্রত্যেক ছাঁটাই হওয়া কর্মীদের কমপক্ষে ৬০ দিনের বেতন দেওয়া হবে। পরবর্তী ৬ মাস তাঁদের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত খরচও বহন করবে গুগল। পাশাপাশি, তাঁদের পরের চাকরি খুঁজতেও সাহায্য করবেন গুগল কর্তৃপক্ষ।
সব শেষে গুগল সিইও জানান, সকাল সকাল যাঁরা দিনের কাজ শুরু করতে গিয়ে এমন খবরের মুখোমুখি হলেন, তাঁরা আজকের দিনটা ওয়ার্ক ফ্রম হোম-ই করে নিতে পারেন। কেউ তাঁদের কিছুই বলবে না।
গুগলের তরফে দাবি করা হয়েছে, বাজারে নিজেদের শীর্ষ স্থান ধরে রাখতে গত কয়েক বছরে নানা বিভাগে বিপুল সংখ্যক নিয়োগ করেছিল তারা। কিন্তু, বর্তমানে মাইক্রোসফট কর্প-এর জেনেরেটিভ আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (generative artificial intelligence)-এর জন্য বাজারে চরম প্রতিযোগিতার মুখে পড়তে হচ্ছে গুগলকে। সেই কারণেই এই কড়া সিদ্ধান্ত।