অফলাইন থেকে ভার্চুয়াল, আবার ভার্চুয়াল থেকে হাইব্রিড ওয়ার্ক মডেল এবং শিল্পক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের মধ্যে প্রতিভার গতিবিধির ক্ষেত্রেও দ্রুত পরিবর্তন আসছে। যার ফলে ট্যালেন্ট ম্যানেজমেন্ট লিডারদের জন্য অনন্য সুযোগ-সুবিধা তৈরি হচ্ছে। ট্যালেন্ট ম্যানেজাররা দ্রুত গতিতে নিয়োগের উপায় খুঁজছেন, যাতে তাঁরা একটা বড় ট্যালেন্ট-পুলে প্রবেশ করতে পারেন। একই রকম ভাবে সামনের সারিতে রয়েছে প্রযুক্তির বিষয়টাও। যা ট্যালেন্ট ম্যানেজারদের জন্য আরও বড় জায়গা তৈরি করে দিচ্ছে। যাতে তাঁদের সৃজনশীল চিন্তাভাবনার বিকাশ ঘটতে পারে এবং তাঁরা প্রতিভা ধরে রাখার নতুন নতুন পরিকল্পনা ছকে তা বাস্তবায়িতও করতে পারেন। কর্মচারীদের ভূমিকাও দ্রুত গতিতে বদলে যাচ্ছে। তার ফলে ট্যালেন্ট ম্যানেজাররা সঠিক প্রতিভাবান কর্মচারী চিহ্নিত করে তাঁদের নিয়োগ করা এবং সেই কর্মীদের ধরে রেখে একটা আধুনিক কর্মীবাহিনী গড়ে তোলার চেষ্টা করছে।
advertisement
মান প্রস্তাব প্রদর্শন:
অঙ্গীকার করার নিরিখে কর্মীরা অনেকটা ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের মতো। আসলে প্রতিষ্ঠানগুলি ঠিক যেমন প্রতিজ্ঞাবদ্ধ কর্মী চায়, ঠিক সেভাবেই আধুনিক কর্মীরাও চান নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানও যেন তাঁদের প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ হয়। যা তাঁদের কেরিয়ারের বিকাশে আরও সাহায্য করতে পারে। অনন্য প্রতিশ্রুতির মাধ্যমে মান প্রস্তাব প্রদর্শন আধুনিক কর্মীবাহিনীর জন্য একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা হিসেবে পালন করে। প্রতিষ্ঠানগুলি কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ানোর ক্ষেত্রে জোর দেয়। শুধু তা-ই নয়, কর্মীদের সমস্ত সুযোগ-সুবিধা দেওয়ারও প্রতিশ্রুতি দিয়ে থাকে।
আরও পড়ুন: কানাড়া ব্যাঙ্কে বিপুল শূন্যপদে নিয়োগ, আজই স্বপ্নপূরণ করুন
নন-ট্র্যাডিশনাল সোর্সিং চ্যানেলের উপর জোর দেওয়া:
কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে এমনিতে ট্যালেন্ট ম্যানেজাররা লোকালাইজড চ্যানেলের উপরই ভরসা রাখেন। এমনকী বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, নিয়োগ সংস্থা এবং প্রোমোশনাল জব পোস্টিংয়ের সঙ্গেও তাঁদের কোলাবোরেশন থাকে। তবে প্রযুক্তি এগোনোর ফলে নতুন নতুন চ্যানেল তৈরি হয়েছে। এতে সুবিধা হচ্ছে ট্যালেন্ট ম্যানেজারদের। কারণ তাঁরা সঠিক ডেটা প্ল্যাটফর্ম চিহ্নিত করার সুযোগ তো পাচ্ছেনই এবং নতুন প্রতিভাবান কর্মী অর্জনের সুবিধাও পাচ্ছেন।
দ্রুত কর্মী নিয়োগ:
আগের ক্যান্ডিডেটের নোটিস পিরিয়ড শেষ হওয়ার জন্য সপ্তাহের পর সপ্তাহ কিংবা মাসের পর মাস অপেক্ষা করতে হত। শুধু তা-ই নয়, সম্ভাব্য নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের জবাব পাওয়ার জন্যও অপেক্ষা করতে হয়। কিন্তু আজকালকার দ্রুত গতিতে চলতে থাকা দুনিয়ায় এগুলো ভীষণই অপ্রাসঙ্গিক। এই প্রতিযোগিতামূলক এবং অত্যন্ত গতিশীল বাজারে সাফল্য লাভ করতে নিজেদের অনবোর্ডিং কৌশলের বিষয়ে ট্যালেন্ট ম্যানেজারদের পুনঃপর্যালোচনা করা উচিত। যারজন্য সত্বর নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়ে রাখতে হয়। কারণ কর্মীরাও নিজেদের কেরিয়ার ও পেশাগত জীবনে বিকাশের জন্য একাধিক সুযোগ-সুবিধা খুঁজে থাকেন।
আরও পড়ুন: বিরাট সুযোগ! ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশন লিমিটেডে নানা ইঞ্জিনিয়ারিং পদে নিয়োগ, জানুন বিশদে
কম্পিটিটিভ প্যাকেজ এবং সুযোগ-সুবিধার জয় সর্বত্রই:
এমনিতে প্যাকেজের তালিকার শীর্ষে থাকে বেতনই। আর তাতেই মূলত আকর্ষিত হতেন কর্মীরা। তবে দুনিয়ায় কাজের ধরন যে-ভাবে উন্নত হচ্ছে, তাতে কম্পিটিটিভ বেতন এবং কর্মীদের সুযোগ-সুবিধাও নিশ্চিত করাটাই হল মূল বাজি। আজকালকার এত প্রতিভাবান কর্মীর বাজারে সংস্থাগুলি কর্মীদের জন্য নানা ধরনের কম্পিটিটিভ বেনিফিট প্যাকেজ প্রদান করছে। তার মধ্যে আর্থিক এবং আর্থিক নয় এমন সুবিধাও থাকে। যেমন ধরা যাক, স্বাস্থ্য বিমা কিংবা কর্মীদের পরিবারের জন্য দেওয়া সুযোগ-সুবিধা প্রভৃতি। আর এ-ভাবেই নিয়োগকারী সংস্থাগুলি কর্মীদের পাশে থেকে তাঁদের বিশ্বাস অর্জন করে থাকে।
মূল্যায়ন পদ্ধতির উপর ফোকাস:
ব্যবসার ধরনধারনে ক্রমশ উন্নতি দেখা যাচ্ছে। আর নিয়ম সংক্রান্ত কোনও অনুশীলন, যা আজ প্রাসঙ্গিক, সেটা ভবিষ্যতে প্রাসঙ্গিক না-ও হতে পারে। তাই ট্যালেন্ট ম্যানেজারদেরও নিয়োগের ক্ষেত্রে বেশ গতিশীলই হতে হচ্ছে। এমন কোনও পদ্ধতি কিংবা কৌশল অবলম্বন করতে হচ্ছে যা নিখুঁত, নিরপেক্ষ এবং উন্নত ও আধুনিক। কে দুর্দান্ত পারফর্ম করতে পারবেন, সেই বিষয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করার পরিবর্তে ট্যালেন্ট ম্যানেজারদের ডেটা এবং অ্যানালিটিকস পরিকাঠামো গড়ে তুলতে হচ্ছে। যাতে মূল্যায়ন পদ্ধতি, পারফরমেন্সের উপর নজরদারির ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা বজায় থাকে।