চন্দ্ররেখায় ছিল রাজারগড়। ছিল রাজপ্রাসাদ, রাজার অধিপত্য। কিন্তু এই চন্দ্ররেখায় আজ আর নেই রাজা, নেই তাঁর রাজত্বও। রাজার সময়কালে সাড়ম্বরে এখানে পূজা হলেও, দিনের পর দিন কমেছে পূজার জৌলুস। তবে পরম্পরা অনুযায়ী এখানে পূজা হয় বছরে একটি দিন। নবমীর সকাল থেকে গমগম করে চন্দ্ররেখা।
বাংলার বিভিন্ন ব্লকের পাশাপাশি ওড়িশা থেকেও বহু মানুষ আসেন এখানে পূজা দিতে। একদিনের দুর্গাপূজায় মাটি কাটা বা গাছ কাটা সেদিন বন্ধ। আসলে জঙ্গলের ভেতরে দুর্গার আসন। প্রতিবছর নবমীর দিন পুজো হয় দুর্গার। তবে মূর্তি কিছু থাকে না। এটাই পরম্পরা এই গ্রামের। জনশ্রুতি এখানেই নাকি একসময় রাজা চন্দ্রকেতুর গড় ছিল। তবে আজ আর তেমন কিছু নেই। মাটির নীচে শুধু মাকড়া পাথরের লম্বা দেওয়াল ছাড়া।
advertisement
এখানে যে রাজাদের রাজত্ব ছিল, তার বহু উদাহরণ ছড়িয়ে আছে। চন্দ্রকেতু গড়ের অবস্থান স্পষ্ট নয়। কিংবা গবেষণার বিষয়। এখানেই বিশেষ জনজাতিভুক্ত আদিবাসী মানুষের অবস্থান। চারপাশে কোথাও দুর্গাপূজা হয় না। ঐতিহ্য মেনে বছরের দুর্গা নবমীতে এখানে মাটির হাতি, ঘোড়া রেখে চলে একদিনের পুজো। তাতে অংশ নেন গ্রামের আদিবাসী মানুষজন।
কবে থেকে পুজো হয়ে আসছে তা অজানা গ্রামের মানুষের কাছে। তাঁদের বক্তব্য, বহু বছর ধরে পরম্পরায় এই পুজো চলে আসছে। পাশেই অবস্থান প্রাচীন সহস্রলিঙ্গ শিব মন্দিরের। সেই মন্দিরের পুরোহিত এখানকার পূজারী। একদিনের এই পুজোয় একদিন মেতে ওঠেন গ্রামের মানুষ।