আজ অষ্টাদশী জ্যোতি একাই ট্রেনে ওঠেন, বাংলা-হিন্দি-নেপালি গান গেয়ে মুগ্ধ করেন যাত্রীদের। কখনও তাঁকে ভিডিও করেন কেউ, আবার কখনও ভাইরাল হয় তাঁর গান। আর সেই ভাইরাল ভিডিও নজরে আসে হাবড়ার প্লে ব্যাক গায়ক কেশব দে-এর। তিনিই জ্যোতির পাশে দাঁড়ান। সম্প্রতি বাবার হাত ধরে প্রথমবার হাবড়া গিয়েছেন জ্যোতি। কেশববাবুর তত্ত্বাবধানে নিয়েছেন গানের তালিম, তারপর রেকর্ড করেছেন নিজের প্রথম গান।
advertisement
কেশব দে বলেন, “ওর কণ্ঠে যেটা আছে, সেটা স্বাভাবিক প্রতিভা। একটু পথ দেখিয়ে দিলেই ও অনেক দূর যাবে।” বাবা রবীন্দ্র মজুমদারের চোখে জল, কণ্ঠে গর্ব— “মেয়ে আমাদের মুখ উজ্জ্বল করেছেন। শরীর আর সায় দেয় না, কিন্তু মেয়ের গানের গলায় আজ আমরা বাঁচি।” জ্যোতির অনুপ্রেরণা শ্রেয়া ঘোষাল, চেষ্টা করেন লতা-আশার গানও রপ্ত করতে। এখন তাঁর স্বপ্ন, প্রথাগত তালিম নেওয়া ও রিয়্যালিটি শোয়ে সুযোগ পাওয়া। কলকাতায় গিয়ে আরও বড় কিছু করার ইচ্ছা আছে।
জ্যোতির স্বপ্ন অনেক বড়, তাঁর দু’ চোখ শুধু খুঁজে বেড়ায় পায়ের শক্ত মাটি। নিজের সুরে তিনি শুধু গান নয়, বুনছেন এক নতুন জীবনের গল্প। বাংলার ট্রেনযাত্রীদের প্রিয় ‘ট্রেনের গায়িকা’ আজ ধীরে ধীরে এগিয়ে চলেছেন তারকাদের পথে! তাই হার না মেনে লড়াই জারি রাখলে স্বপ্ন সত্যি করে যে সত্যিই সম্ভব সেটাই চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয় জ্যোতির এই “ট্রেন টু স্টুডিও” যাত্রা!