পুজো প্রস্তুতি এখন তুঙ্গে। রাজবাড়ি সংলগ্ন এই এলাকাতেই গড়ে উঠছে মনসা দেবীর বিশাল মূর্তি, যার দুই পাশে লোককাহিনির অমলিন দুই চরিত্র—বেহুলা ও লখিন্দর। স্থানীয় মৃৎশিল্পীদের নিপুণ হাতে গড়ে উঠছে এই শিল্পসুষমা, যা প্রতিবারই দর্শনার্থীদের বিস্ময়ে মোহিত করে। শুধু প্রতিমা নয়, মনসা পুজোর মূল আকর্ষণ হয়ে ওঠে রাজবাড়ির আঙিনায় বসা মেলা, লোকগান, পালাগান আর নানা রকম লোকসংস্কৃতির অনুষ্ঠান। রাজবাড়ির সদস্যদের সক্রিয় অংশগ্রহণ, স্থানীয় বাসিন্দাদের উত্সাহ আর দর্শনার্থীদের আগমনে জমে উঠেছে রাজবাড়ির প্রতিটি প্রাঙ্গণ। পুজোকে কেন্দ্র করে বসে বিরাট মেলাও। উৎসবের দিন যত এগোচ্ছে, বৈকুণ্ঠপুরের মাটিতে যেন আরও একবার জেগে উঠছে ইতিহাস।
advertisement
ধর্ম, সংস্কৃতি আর ঐতিহ্যের এই অনন্য মেলবন্ধন মনসা পুজোকে শুধুই পূজা নয়, এক সামাজিক ও সাংস্কৃতিক মিলনমেলায় পরিণত করেছে।এই পুজো নতুন প্রজন্মের কাছে শুধুই কাহিনি নয়—এ এক জীবন্ত অভিজ্ঞতা। আর সেই অভিজ্ঞতা টানছে দূরদূরান্তের মানুষকেও। এ যেন এক জীবন্ত ঐতিহ্যের উদযাপন!