উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের অ্যানাস্থেশিয়া বিভাগের অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর ডাঃ অভিষেক গাঙ্গুলী এবিষয়ে বলেন, 'আমাদের এখানে ৫৫ বছরের এক মহিলা, শোভাদেবী আসেন রাত ১টায়। ওঁর বাঁদিকের বগল থেকে এসে পিঠ থেকে এফোর ওফোর হয়ে যায় বাঁশটি। তিনি এদিন দুপুরেই একটি দুর্ঘটনায় এইভাবে জখম হন। তাঁর বাড়ি পাঞ্জিপাড়ায়। তিনি দুর্ঘটনাস্থল থেকে পূর্ণিয়া যান চিকিৎসার জন্য।সেখান থেকে রাতে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। আমরা রাত তিনটের মধ্যে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলি যে এই রোগীকে সকাল পর্যন্ত রাখা যাবে না। পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়ে যেতে পারে। তাই আমরা তখনই সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলি যে এই অস্ত্রোপচার করতে হবে। আমরা সেখানে সমস্ত ব্যবস্থা করি।' তিনি বলেন, 'অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং ছিল এই কাজ। সকাল সাড়ে ৬টায় এই অপারেশন শেষ করি। বিভিন্ন জায়গায় ফ্র্যাকচার ছিল। তার সঙ্গে ব্লাড লস (blood loss) নিয়েও আমরা চিন্তায় ছিলাম। আপাতত মেকানিক্যাল ভেনটিলেশনে (mechanical ventilation) রাখা হয়েছে। শীঘ্রই তিনি সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরবেন।'
advertisement