২০২২ সালে ফেব্রুয়ারির ২৪ তারিখ গোটা বিশ্বকে অবাক করে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে রাশিয়া। ঘোষণার কয়েকঘণ্টার মধ্যেই রাশিয়ার লাখ লাখ সেনা বেলারুশ, ক্রিমিয়া বর্ডার থেকে ইউক্রেনে প্রবেশ করতে থাকে। পাল্টা জবাব দেয় ইউক্রেনের বাহিনীও। দুই পক্ষের সেনারই বিরাট ক্ষতি হয়েছে দীর্ঘ সময় ধরে চলা এই যুদ্ধে। ইউক্রেনের দাবি, এই যুদ্ধে রাশিয়ার অন্তত সাড়ে তিন লাখ বাহিনী সেই সঙ্গে অত্যাধুনিক সামরিক সরঞ্জামের ক্ষতি হয়েছে।
advertisement
ইউক্রেনের বেশ কিছু শহর এখনও দখলে রেখেছে রুশ বাহিনী। দুই দেশের সেনার এই যুদ্ধে প্রচুর সাধারণ মানুষেরও প্রাণহানি হয়েছে। United Nations Human Rights Monitoring Mission-র দাবি, এই যুদ্ধে অন্তত ১০ হাজার সাধারণ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ৫৬০টি শিশুও রয়েছে। আহতের সংখ্যা কমপক্ষে ২০ হাজারের কাছাকাছি। যুদ্ধে প্রচুর বাড়ি ধ্বংস হয়েছে। ইউক্রেনের অভিযোগ, রাশিয়ার একাধিক মিসাইল জনবসতিগুলির উপর আঘাত হেনেছে।
আরও পড়ুন, আনাচে কানাচে ছড়িয়ে দেহ! ভয়ঙ্কর ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল চিন, বাড়ছে মৃতের সংখ্যা
আরও পড়ুন,এত বছর ধরে কেন কোনও ক্ষতি হয়নি চিনের প্রাচীরের, অবশেষে সামনে এল বিরাট রহস্য়
২০২৩ সালের গোটা বছরই উত্তপ্ত থেকে ইউক্রেন এবং রাশিয়ার যুদ্ধে। তবে শেষ পাওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, রুশ বাহিনীকে এবার একটু ধীর হতে বলা হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে চলা এই যুদ্ধে রাশিয়ার অর্থনীতিও বিপুল ধাক্কা খেয়েছে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংগঠনের নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছে। রাশিয়ার বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক অবরোধ-সহ একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে ইউরোপ দেশগুলি-সহ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু তাতেও লাভের লাভ কিছু হয়নি। উল্টে রাশিয়া এবং চিনে মধ্যবর্তী ব্যবসা চলতি বছরে রেকর্ড পরিমাণে করেছে।
২০২৪ সাল শুরু হতে আর মাত্র কটা দিন বাকি। সামনের বছর এই যুদ্ধের রেশ কতটা থাকবে, তা সময়ই উত্তর দেবে। কিন্তু এই যুদ্ধের জেরে যে দু পক্ষেরই ক্ষতি হচ্ছে তা স্পষ্ট। এক মিডিয়ার প্রতিবেদন অনুসারে, রুশ মহিলারা স্থানীয় প্রশাসনের দ্বারস্থ হচ্ছেন। কারোর স্বামী, কারোর বাবা কিংবা ভাই, কারোর বা সন্তান যুদ্ধে গিয়েছেন। অবিলম্বে যাতে তাদের ফেরত আনা যায়, তাই জন্যই প্রশাসনের কাছে জানাচ্ছেন তাঁরা।