ভারতের মতো দেশের অধিবাসীদের কাছে ব্যাপারটা একটু হলেও হাস্যকর মনে হতে পারে। এই দেশের নানা রাজ্যেই নানা ভাবে ডাল খাওয়ার রেওয়াজ রয়েছে। বাঙালিদের তো ভাতের পাতে ডাল না হলে চলে না! সুতরাং, এই দেশের মানুষকে ডালের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে নতুন করে কিছু জানানোর নেই রাষ্ট্রসংঘের। তবে বিশ্বকে জানান দেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে বই কী! কেন না, ইয়োরোপে ডাল সেভাবে উৎপন্ন হয় না, ফলে খাওয়ার রেওয়াজও কম। ওখানে ডালকে গণ্য করা হয় স্যুপ হিসেবে!
advertisement
ফলে, এই দিনটিতে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক ভাবে ডাল খাওয়ার রেওয়াজ রয়েছে। যা তাদের একঘেয়ে রান্নায় বৈচিত্র্য নিয়ে আসে। অনেকে আবার এই দিনে উপহার হিসেবেও ডাল আদান-প্রদান করে থাকেন। তবে, শুধুই ডালের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে সচেতনতা প্রচার নয়, এই দিনটি উদযাপনের নেপথ্যে আরেকটা লক্ষ্যও রয়েছে ইউনাইটেড নেশনস-এর। সেটা হল সারা বিশ্বের মানুষের অভুক্ত থাকার সমস্যা দূর করা! সেই দিক থেকেও দিনটি এবং ডালের আদান-প্রদান গুরুত্ব সহযোগে বিবেচনা করা হয়ে থাকে।
প্রতি বছর এই দিনটি একেক রকমের থিম অনুযায়ী উদযাপন করে থাকে রাষ্ট্রসংঘ। এই বছরের থিম খুব স্বাভাবিক ভাবেই জোর দিয়েছে করোনাকালীন পরিস্থিতিতে। যতই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা হোক না কেন, যতই মারণ ভাইরাসের ভ্যাকসিনের প্রয়োগ শুরু হয়ে যাক না কেন, আদতে এই রোগের সঙ্গে যুঝতে গেলে কাজে আসে আমাদের শরীরের অভ্যন্তরীণ রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা। আর সেই রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বা ইমিউনিটি বাড়াতেই সাহায্য করে থাকে নানা রকমের ডাল। সেই দিক থেকে এই বছরের থিম ঠিক করা হয়েছে Nutritious Seeds for a Sustainable Future নামে!
আয়ুর্বেদশাস্ত্রেও যে শস্যের জয়জয়কার, সেই নানা ডালের হরেক পুষ্টিগুণই তো সুরক্ষিত করতে পারে মানুষের সভ্যতাকে! তবে অনেকেই ডাল তেমন ভালোবাসেন না, এড়িয়ে যান খাবারটাকে! কিন্তু সব তথ্য মাথায় রেখে এবার থেকে নিয়মিত ডাল খাওয়ার রেওয়াজ চালু করলে হয় না?
