UNSC-তে ভাষণ দিতে গিয়ে, জাতিসংঘে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি টিএস তিরুমূর্তি বলেছেন: “দু- দিন আগে নিরাপত্তা পরিষদ বৈঠক করেছিল এবং পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেছিল। আমরা উত্তেজনা কমানোর আহ্বান জানিয়েছিলাম এবং পরিস্থিতি (Russia Ukraine Crisis) সম্পর্কিত সমস্ত সমস্যা মোকাবেলায় জোরালো ও মনোযোগী কূটনীতির (India Russia Ukraine Crisis) উপর জোর দিয়েছিলাম। যাইহোক, আমরা দুঃখের সঙ্গে এই পরিস্থিতিতে উত্তেজনা প্রশমিত করার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি। বিভিন্ন পক্ষগুলির দ্বারা গৃহীত সাম্প্রতিক উদ্যোগগুলিতে সময় দেওয়ার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আহ্বানে কর্ণপাত করা হয়নি। তার ফলে পরিস্থিতি একটি বড় সংকটে (War in Ukraine) পরিণত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।”
advertisement
আরও পড়ুন : দাম বাড়তে চলেছে বিয়ারের? কারণ জানলে থ হয়ে যাবেন!
তিনি যোগ করেন: “আমরা পরিস্থিতি (India Russia Ukraine Crisis) উন্নয়নের বিষয়ে আমাদের গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি, যা সাবধানে না নিলে এই অঞ্চলের শান্তি ও নিরাপত্তা নষ্ট হতে পারে। আমরা অবিলম্বে ডি-এস্কেলেশন এবং পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটাতে পারে এমন কোনও পদক্ষেপ থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাই। সব পক্ষের প্রতি আমাদের আহ্বান জানাই ভিন্ন স্বার্থের সেতুবন্ধনে বৃহত্তর প্রচেষ্টা চালাতে। আমি আন্ডারলাইন করতে চাই যে সমস্ত পক্ষের বৈধ নিরাপত্তা স্বার্থ সম্পূর্ণরূপে বিবেচনায় নেওয়া উচিত।"
অন্যদিকে গতকাল ঘোষণার পরে বৃহস্পতিবার ইউক্রেন সংকটে ভারতের ‘স্বাধীন অবস্থান’-কে স্বাগত জানাল রাশিয়া (War in Ukraine)। ক্রেমলিনের তরফে জানানো হল, রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ভারত যে মতামত ব্যক্ত করেছে, তা থেকেই স্পষ্ট যে দুই দেশের মধ্যে কৌশলগত সম্পর্ক কতটা ভাল।
আরও পড়ুন : ইউক্রেনে মিলিটারি অপারেশন রাশিয়ার! 'বিরাট যুদ্ধ' শুরু, সতর্কবার্তা বাইডেনেরও
রাষ্ট্রসংযের রাশিয়ার উপ-দূত রোমান বাবুশকিন জানান, রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাত নিয়ে বিশ্বের অন্যতম দায়িত্ববান দেশের ভূমিকা পালন করছে ভারত। বিশ্বের সাম্প্রতিক ঘটনাবলীর ক্ষেত্রে ‘স্বাধীন এবং ভারসাম্যমূলক’ অবস্থান নিয়েছে নয়াদিল্লি। সেইসঙ্গে তিনি জানিয়ে দেন, ভারত এবং রাশিয়ার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে ইউক্রেন সংকটের (Russia Ukraine Crisis) কোনও প্রভাব পড়বে না। বরং আগামী মাসে গুজরাটে 'ডেফএক্সপো'-তে রাশিয়ার প্রচুর প্রতিনিধি থাকবেন। বাবুশকিনের কথায়, ‘রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে দু'বার ভারত যে স্বাধীন অবস্থান নিয়েছে, তার স্বাগত জানাচ্ছি। যে মতামত খোলাখুলি জানিয়েছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এবং অন্যান্য আধিকারিকরা।’
এমনিতে প্রথম থেকেই ইউক্রেন-রাশিয়ার (Russia Ukraine Crisis) সংঘাত নিয়ে কোনও পক্ষ অবলম্বন করেনি নয়াদিল্লি। রাশিয়া এবং আমেরিকা - দুই ‘শত্রু’ দেশের সঙ্গেই কূটনৈতিক সম্পর্ক থাকায় কাউকেই চটাতে চায়নি ভারত। তারইমধ্যে মঙ্গলবার প্যারিসে ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর জানান, এখন যে রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাত চলছে, তার বীজ অন্তর্নিহিত আছে সোভিয়েত পতনের পরবর্তী রাজনীতির মধ্যে। তাঁর কথায়, ‘গত ৩০ বছর ধরে যে জটিল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল, তারই ফলাফল হল ইউক্রেনের বর্তমান পরিস্থিতি। ভারত, ফ্রান্সের মতো অধিকাংশ দেশই কূটনৈতিক উপায়ে সমস্যা সমাধানের পক্ষে সওয়াল করছে।’