সংবাদ সংস্থা এএফপি জানাচ্ছে- হলে উপস্থিত হাজার হাজার মানুষের উপস্থিতিতে মেয়র এই কুমিরটিকে বিয়ে করেন। ভিক্টর হুগো সোসা, মেক্সিকোর তেহুয়ানটেপেক ইসথমাসের আদিবাসী চোন্টাল জনগণের একটি শহর সান পেড্রো হুয়ামেলুলার মেয়র৷ অ্যালিসিয়া অ্যাড্রিয়ানা নামে একটি কুমিরকে তাঁর স্ত্রী হিসাবে গ্রহণ করলেন৷
দেখে নিন সেই ভাইরাল ভিডিও
এটি যে ধরণের কুমির তা মেক্সিকো এবং মধ্য আমেরিকাতে পাওয়া যায়৷ সোসা স্থানীয়রা যাকে ‘রাজকুমারী’ বলে ডাকে৷ অনুষ্ঠান চলাকালীন সোসা বলেন, ‘আমি দায়িত্ব গ্রহণ করছি, কারণ আমরা একে অপরকে ভালোবাসি। এটাই গুরুত্বপূর্ণ।প্রেম ছাড়া বিয়ে করা যায় না…আমি একজন ‘রাজকুমারী’কে বিয়ে করতে প্রস্তুত।’
আরও পড়ুন – Home Remedies: এখানে-সেখানে দাগ লজ্জায় ফেলছে, রইল ঘরোয়া সহজ টোটকা
জানার বিষয় এটাই যে বিগত ২৩০ বছর ধরে এখানে একজন পুরুষ এবং একটি কুমিরের মধ্যে বিয়ে হয়ে আসছে। শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য দুটি আদিবাসী গোষ্ঠীর মধ্যে বিয়ে হলে এই প্রথা শুরু হয়।
পুরনো রীতি অনুযায়ি দুই গোষ্ঠীর মধ্যে পার্থক্যের মীমাংসা হয়েছিল যখন একজন চোন্টাল রাজা, যিনি এখন মেয়র নামে পরিচিত, হুয়াওয়ে আদিবাসী গোষ্ঠীর এক রাজকুমারীকে বিয়ে করেছিলেন, যার রূপক একটি মহিলা কুমির। হুয়াওয়ে উপকূলীয় রাজ্য ওক্সাকাতে বাস করে, এই অভ্যন্তরীণ শহর থেকে খুব বেশি দূরে নয়।
কুমিরকে নতুন বউয়ের মতো সাজানো হয়েছে
বিয়ের অনুষ্ঠানের আগে কুমিরটিকে ঘরে ঘরে নিয়ে যাওয়া হয় যাতে বাসিন্দারা তাদের কোলে নিয়ে নাচতে থাকে। বিয়ের আগে কোনও দুর্ঘটনা এড়াতে প্রাণিটির মুখ আটকে দেওয়া হয়েছিল৷ পরে, তাকে পাশ্চাত্য বিয়ের রীতি অনুযায়ি সাদা পোশাক পরিয়ে অনুষ্ঠানের জন্য টাউন হলে নিয়ে যাওয়া হয়। মেক্সিকোতে পরিবেশ ও পশুপাখির সঙ্গে মানুষের সম্পর্ক মজবুত করতে এ ধরনের বিয়ের আয়োজন করা হয়। এই ধরণের বিয়ে এখনও এখানে প্রচলিত। লোকেরা বিশ্বাস করে যে এটি করলে ঈশ্বর তাদের সমস্ত ইচ্ছা পূরণ করবেন। বিয়ের পর ঐতিহ্যবাহী সঙ্গীতের তালে কনের সঙ্গে নেচেছেন মেয়র।