অস্ট্রেলিয়ার এক ব্যক্তি হঠাৎই তাঁর অ্যাকাউন্টে ৪২০,০০০ পাউন্ড স্টার্লিং বা ভারতীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ৪ কোটি ২৬ লক্ষেরও বেশি অর্থের মালিক হয়ে যান। নিজের অ্যাকাউন্টে এই বিরাট অঙ্কের টাকা চলে আসায় ওই ব্যক্তি নিজের মতো করে তা ব্যয় করতে থাকেন। সোনার বার থেকে মেক-আপ, ডিজাইনার পোশাকে লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যয় করার পর ২৪ বছর বয়সী আবদেল গাদিয়া নামের ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে অস্ট্রেলিয়া পুলিশ। আবদেল পেশায় একজন র্যাপার, তিনি বর্তমানে ১৮ মাসের জন্য জেলে বন্দী।
advertisement
আরও পড়ুন- ১৮ হাজার নাম বাদ, পূর্ব বর্ধমানে আবাস যোজনার তালিকা যাচাইয়ের কাজ শেষের দিকে
আসলে তাঁর অ্যাকাউন্টে যে টাকা এসেছিল তা ভুলবশত এক দম্পতি একটি বাড়ি কিনতে চেয়ে ট্রান্সফার করেছিলেন। ইনস্টাগ্রাম নিউট্রিশনিস্ট তারা থর্ন এবং তাঁর স্বামী কোরি সিডনির উত্তরে সমুদ্র সৈকতে একটি বাড়ি কিনতে চেয়ে টাকা ট্রান্সফার করেছিলেন, কিন্তু তা ভুলবশত আবদেলের অ্যাকাউন্টে চলে আসে।
ওই দম্পতি ভেবেছিলেন যে তাঁরা ব্রোকার অ্যাডাম ম্যাগ্রোর সঙ্গে ই-মেলের মাধ্যমে ডিল করছেন, কিন্তু আসলে তাঁর ইমেল আইডি হ্যাক করা হয়। তারা এবং কোরিকে প্রথমে গাদিয়ার অ্যাকাউন্টে টাকা ট্রান্সফারের কথা বলা হয়, তারপর সেখান থেকে বিভিন্ন খাতে ওই টাকা ছড়িয়ে দেওয়া হয়। এই ঘটনাটি ঘটেছে গত বছর। গাদিয়া অর্থ ব্যয়ের বিষয়ে অপরাধের কথা স্বীকার করে নিলেও টাকা ট্রান্সফারের বিষয়ে জড়িত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।
আরও পড়ুন- বড়দিনের জমজমাট মজা; খানাপিনার জমকালো আয়োজন শহরের এই পাঁচতারায়
সিডনি ডেইলি টেলিগ্রাফের খবরে বলা হয়েছে যে, গাদিয়া জানিয়েছিলেন যে তিনি শুধু ঘুম থেকে উঠে নিজের অ্যাকাউন্টে বিপুল পরিমাণে টাকা আসতে দেখেছিলেন। তবে এই মুহূর্তে গাদিয়াই একমাত্র ব্যক্তি যাঁকে কেলেঙ্কারির মামলায় অভিযুক্ত করা হয়েছে। ২৪ বছর বয়সী ওই যুবককে আদালতে তোলা হলে তাঁকে ১৮ মাসের সাজা প্রদান করা হয়েছে।
রিপোর্ট অনুসারে ১৮ মাসের শাস্তিতে ১০ মাসের নন-প্যারোল মেয়াদও অন্তর্ভুক্ত করা রয়েছে। তবে দুঃখের বিষয় পুলিশ তদন্ত শুরু করার পরেও এখনও পর্যন্ত গাদিয়ার কেনা সোনা উদ্ধার করতে পারেনি।