আরও পড়ুন-নিয়ন্ত্রণ থাকছে না নিজের উপরে, আবির্ভাব হয়েছে অদ্ভুত এক রহস্যময় রোগের!
সম্প্রতি ব্রিটেনের (United Kingdom) বাসিন্দা বেন ম্যান (Ben Mann) ও তাঁর স্ত্রী কিম্বারলি (Kimbarlee) একটি পুরনো বাড়ি কিনেছিলেন। বছর ৩৯-এর বেন জানিয়েছেন যে, ওই বাড়িটি প্রায় একশো বছরের পুরনো (100 Years Old House)। ১৯০০ সাল নাগাদ ওই বাড়িটি নির্মিত হয়েছিল বলে অনুমান তাঁদের। তবে ওই বাড়িটি পুরনো ইতিহাস ও ঐতিহ্যের সাক্ষী বলে জানিয়েছেন ওই দম্পতি। এর কারণ হিসাবে ওই দম্পতি জানিয়েছে, ২০২০ সালে পুরনো বাড়িটি কিনেছিলেন তাঁরা। বাড়িটি জরাজীর্ণ হওয়ায় গত বছর সেটিকে সংস্কার (renovate) করতে গিয়ে তাঁরা দেখতে পান, ঘরের মেঝের নীচেই রয়েছে গভীর সুড়ঙ্গ (tunnel)। প্রথম অবস্থায় কিছুটা হকচকিয়ে গেলেও বিষয়টি নিয়ে বিচলিত না-হয়ে গোটা ঘটনার অন্বেষণ শুরু করেন বেন ও কিম্বারলি। তাঁরা দেখতে পান জরাজীর্ণ ঘরের কাঠের মেঝের নীচে রয়েছে আস্ত একটি গুহা। শুধু তা-ই নয়, গুহার মধ্যে প্রবেশের জন্য ৩৯ ধাপের মই লাগানো একটি সিঁড়িও রয়েছে (Couple finds 100 years old hidden room)।
advertisement
প্রথমে বিষয়টি আশ্চর্যজনক লাগলেও প্রায় ভয়ে ভয়ে তাঁরা ওই সিঁড়ি বেয়ে গুহার (cave) ভিতর প্রবেশ করেন। এর পর ওই দম্পতি একটি ভিজে স্যাঁতস্যাঁতে দুর্গন্ধযুক্ত ঘরের সন্ধান পান।
প্রথম অবস্থায় কিছু বুঝে উঠতে না-পারলেও পরে ওই দম্পতি বুঝতে পারেন, ওই ঘরে সুরা অর্থাৎ মদ সংগ্রহ করে রাখা হতো। ওই ঘর থেকে পাওয়া কিছু নমুনার ভিত্তিতেই তাঁরা এক প্রকার নিশ্চিত হন যে, তাঁদের কেনা বাড়িটি একশো বছর অর্থাৎ ১৯০০ সাল নাগাদ নির্মিত হয়েছিল।
তাঁরা আরও জানিয়েছেন, ওই বাড়িটি সম্পূর্ণ কাঠের নির্মিত ছিল। দীর্ঘ দিনের পুরনো হওয়ায় কাঠগুলিতে পচন ধরেছিল। পাশাপাশি কাঠে উঁই পোকাতেও বাসা বেধেছিল। পচে যাওয়া কাঠ ও নষ্ট হয়ে যাওয়া কার্পেট সরাতে গিয়েই একশো বছরের পুরনো ইতিহাসের পাতা খুলে যায় তাঁদের সামনে।
জানা গিয়েছে, পুরনো ইতিহাস সম্বলিত এই সত্য সামনে আসার পরে ওই দম্পতি তা পোস্ট করেছেন সোশ্যাল মিডিয়ার পেজে। এর পরেই ওই ঘটনা সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে যায় হু হু করে। কিছু মানুষ ওই বিষয়টি সরেজমিনে পর্যবেক্ষণ করার জন্য উৎসাহী হয়েছেন বলে জানিয়েছেন বেন। এমনকী ওই বাড়িটি তাঁরা নিজে হাতেই সংস্কার করেছেন বলে জানিয়েছেন। এতে তাঁদের প্রচুর টাকা সাশ্রয় যেমন হয়েছে, পাশাপাশি নিজেদের মনের মতো করে ওই পুরনো ইতিহাসকে জীবন্ত নিদর্শন হিসাবে তুলে ধরতে পেরেছেন তাঁরা। ওই গোপন গুহা ঘরটিকে নানান উপকরণে সাজিয়েছেন বেন ও তাঁর স্ত্রী। ঘরটিতে বসবার সোফা থেকে শুরু করে প্রোজেক্টর (projector) যেমন রাখা হয়েছে, তেমনি আবার ঘরটিকে ইতিহাস ও বর্তমানের মেলবন্ধনে একটি বার (bar) হিসেবে তৈরি করেছেন ওই দম্পতি।