জানুয়ারি থেকেই ভেনেজুয়েলার রাজধানী কারাকাস থেকে মার্কিন কূটনীতিকদের সরিয়ে নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে চলমান আন্দোলনে বিরোধী দলীয় নেতা গুয়ান গুইদোর সমর্থনেই রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। অন্যদিকে মার্কিন কূটনীতিকদের ভেনেজুয়েলা ত্যাগের নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো।
এদিকে ৭ মার্চ থেকে বিদ্যুৎ বিভ্রাট সমস্যায় (ইলেক্ট্রিসিটি ব্ল্যাক আউট) রয়েছেন ভেনেজুয়েলাবাসী। ব্ল্যাক আউটের কারণে এখন পর্যন্ত প্রায় ১৭ জনের প্রাণহানি হয়েছে বলে দাবি করেছেন বিরোধী দলীয় প্রেসিডেন্ট হুয়ান গুইদো। এসব হত্যায় মাদুরোকে ‘খুনি’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন গুইদো।
advertisement
তবে এ নাশকতার পেছনে যুক্তরাষ্ট্রকে দায়ী করেছে দেশটির প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো। এ দায় প্রত্যাখ্যান করে মাইক পম্পেও বলেছেন, আমরা শুধু ভেনেজুয়েলানদের কল্যাণেই আগ্রহী।
ভেনেজুয়েলায় বর্তমানে প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো ও বিরোধীদলের হুয়ান গুইদোর মধ্যে আন্দোলন চলছে। গত ২৩ জানুয়ারি গুইদো নিজেকে ‘অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট’ হিসেবে ঘোষণা দিলে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানিসহ প্রায় ৫০টি দেশ তাকে সমর্থন করে। অন্যদিকে রাশিয়া, চীনসহ কিছু দেশ এখনও পর্যন্ত মাদুরোর পাশেই রয়েছে।
ভেনেজুয়েলা বর্তমানে বিশাল অর্থনৈতিক সংকটের মুখে রয়েছে। এর মোকাবিলা করতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে ত্রাণ সহায়তা চাইছেন গুইদো, তবে দেশটিতে কোনো ধরনের ত্রাণ সহায়তা প্রবেশ করতে পারবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মাদুরো।
আরও পড়ুন
খবরের কাগজে চোখ রাজ চক্রবর্তীর, মিমির খবরটা খুঁজছেন? প্রশ্ন নেটিজেনদের
