ভারতীয়দের কাছে এতদিন প্রশান্ত মহাসাগরের বুকে প্রায় ৮০টি দ্বীপ নিয়ে গড়ে ওঠা ভানুয়াতুর নাম কার্যত অজানাই ছিল৷ কিন্তু ক্রমেই এই দ্বীপরাষ্ট্রটিকে নিয়ে ভারতীয়দের মধ্যে আগ্রহ বাড়ছে৷ কীভাবে ভানুয়াতুর নাগরিকত্ব নেওয়া যায়, গুগলে সেই খোঁজও করছেন অনেকে৷
আরও পড়ুন: ‘৯ মাসের মধ্যে সন্তান জন্ম দাও, না হলে চাকরি যাবে!’ কোন দেশে এমন আজব ফতোয়া জারি জানুন…
advertisement
ভানুয়াতুতে মোটা টাকা বিনিয়োগ করে যে কেউ সেদেশের পাসপোর্ট এবং নাগরিকত্ব পেতে পারেন৷ ধনী এবং সম্পদশালীদের দেশের নাগরিক করতে এই উদ্যোগ নিয়েছে ভানুয়াতুর সরকারই৷
ভানুয়াতুর নাগরিকত্ব নিলে কী কী সুবিধে?
ভানুয়াতুর নাগরিকদের কোনও আয়কর জমা দিতে হয় না৷ অর্থাৎ, ভানুয়াতুর ভিতরে অথবা বিদেশ থেকেও কোনও নাগরিক যত টাকা আয় করুন না কেন, ভানুয়াতুতে কোনও আয়কর দিতে হয় না৷
ভানুয়াতুতে কোনও কর্পোরেট ট্যাক্সও নেই৷ ফলে কারও ব্যবসা যদি ভানুয়াতুতে নথিভুক্ত করা থাকে তাহলে তিনি দেশে অথবা বিদেশ থেকে সেই ব্যবসার সূত্রে যত টাকাই আয় করুন না কেন, কোনও কর দিতে হয় না৷
এই দ্বীপরাষ্ট্রটিতে কোনও গিফট ট্যাক্স, এস্টেট ট্যাক্স নেওয়া হয় না৷ অদূর ভবিষ্যতে ক্রিপ্টো কারেন্সির লেনদেনের জন্যও আদর্শ ঠিকানা হয়ে উঠতে চলেছে ভানুয়াতু৷ এমনটাই মত বিশেষজ্ঞদের৷
ভানুয়াতুর মুদ্রার নাম ভাতু৷ বর্তমান বিনিময় মূল্য অনুযায়ী ভারতের ১ টাকা বিনিময়ে ভানুয়াতু ১.৪০৬৫১ ভাতু পাওয়া যাবে৷
২০২৪ সালের সমীক্ষায় ১৫০টি দেশের মধ্যে সবথেকে সুখী দেশ হিসেবে শীর্ষ স্থান দখল করেছিল ভানুতুতু৷ ২০০৬ সালেও এই শিরোপা জিতেছিল দেশটি৷
কীভাবে ভানুতুতু পৌঁছতে হয়?
বিশ্বের অনেকগুলি জনপ্রিয় এবং পরিচিত শহর থেকেই ভানুয়াতু যাওয়া য়ায়৷ অস্ট্রেলিয়ার সিডনি থেকে বিমানে এই দ্বীপ রাষ্ট্রটির দূরত্ব তিন থেকে চার ঘণ্টার৷ ফিজি, নিউজিল্যান্ডের মতো দেশগুলি থেকেও ভানুয়াতু যাওয়ার সরাসরি বিমান রয়েছে৷
২০২০ সালের সুমারি অনুযায়ী ভানুয়াতুর জনসংখ্যা তিন লক্ষের সামান্য কিছু বেশি৷ যা নয়ডার জনসংখ্যার প্রায় অর্থেক৷ এই দ্বীপরাষ্ট্রটিতে দীর্ঘ দিন ধরে ফরাসি এবং ব্রিটিশ উপনিবেশ ছিল৷ ১৯৮০ সালে দেশটি স্বাধীন হওয়ার পর নাম হয় ভানুয়াতু৷