তবে এই দুই নেতার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেই সফর শেষ নয়। এরপরেই তিনি যাবেন পার্শবর্তী দেশ মিশর ও জর্ডানে। সেখানে ইজরায়েল প্যালেস্টাইনের সংঘাত কমানো নিয়ে নানা পরামর্শ করবেন তিনি। ১১ দিন পর যুদ্ধ বিরতিতে মিশরের মধ্যস্থতার জন্য দেশটিকে স্বাগতও জানানোর কথা রয়েছে তাঁর। হঠাৎ করেই কেন এমন সফরের সিদ্ধান্ত নিল যুক্তরাষ্ট ?
advertisement
প্যালেস্টাইনে ইজরায়েলি হামলার পেছনে মার্কিন সমর্থন রয়েছে। রয়েছে অস্ত্র ও মিলিয়ন ডলারের আর্থিক সহযোগিতা। এ ধরনের নানা অভিযোগ রয়েছে মার্কিন প্রশাসনের বিরুদ্ধে। ঠিক এমন পরিস্থিতিতে মধ্যপ্রাচ্য সফরে যাচ্ছেন মার্কিন এই বিদেশ সচিব । অনেক বিশ্লেষক মনে করেন, ব্লিনকেনের এই সফর আপাতত কিছুদিনের জন্য মধ্যপ্রাচ্য সমস্যার সমাধান করতে পারে। তবে এ সমস্যার মূল রয়েছে আরও গভীরে। সেখান থেকে সমাধান করতে হবে।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২০ সালে যুক্তরাষ্ট্র ইজরায়েলকে ৩৮০ কোটি ডলার সহায়তা দিয়েছে। প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সময় ইজরায়েলকে দীর্ঘমেয়াদী যে সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল, তার অধীনেই এই সহায়তা। আর এই সহায়তার প্রায় পুরোটাই ছিল সামরিক সাহায্য। ২০১৬ সালে প্রেসিডেন্ট ওবামা ইজরায়েলের সঙ্গে এক চুক্তি স্বাক্ষর করেন যার অধীনে ২০১৭-১৮ সাল থেকে তার পরবর্তী ১০ বছর ইজরায়েল ৩৮ বিলিয়ন ডলার বা ৩৮০০ কোটি ডলার সামরিক সাহায্য পাবে।
তার আগে দশ বছরের তুলনায় ঐ সাহায্য বেড়েছে প্রায় ছয় শতাংশ। এছাড়া গত বছর ওই দেশে নতুন অভিবাসীদের পুনর্বাসনে যুক্তরাষ্ট্র ৫০ লাখ ডলার সাহায্য দিয়েছে। বিশ্বের যে কোনো দেশ থেকে ইহুদিরা ইজরায়েলে গিয়ে বসতি গড়তে চাইলে তাকে স্বাগত জানানোর নীতি বহুদিন ধরেই সেদেশে রয়েছে। পাশাপাশি আরব দেশগুলিকে বুঝিয়ে আপাতত শান্তি রাখতে চায় আমেরিকা।