৪৫ বছরের ম্যাথিউ ডব্লিউ, দু’টি পৃথক স্থানের হাসপাতালের নার্স। তিনি একটি সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, তিনি ফাইজার টিকা নিয়েছিলেন ১৮ ডিসেম্বর। ভ্যাকসিন গ্রহণ করার সময় তাঁর সামান্য ব্যথা লেগেছিল। ব্যথাটা এক দিন পর্যন্ত ছিল, কিন্তু তিনি কোনও রকমের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার শিকার হননি। ২৫ ডিসেম্বর কোভিড১৯ ইউনিটে শিফট শেষ করার পর তিনি গুরুতর ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন। মারাত্মক ঠান্ডা লেগে যায় তাঁর। পেশীতে ব্যথা এবং সেই সঙ্গে সারা শরীরে ক্লান্তি অনুভব করেন।
advertisement
ম্যাথিউ অসুস্থ বোধ করায় নিজেই করোনা টেস্টের জন্য হাসপাতালে চলে যান। ক্রিসমাসের পরের দিন তাঁর করোনার রিপোর্ট পজিটিভ আসে।
সান দিয়েগোর স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলির একজন বিশেষজ্ঞ ক্রিশ্চিয়ান রমার্স জানিয়েছেন যে, এই দৃশ্যটি অপ্রত্যাশিত নয়। কারণ, করোনার যে কোনও ভ্যাকসিনের ট্রায়াল গুলি থেকে বলা হয়েছিল মানবদেহে প্রতিষেধকের সুরক্ষা বিকাশ করতে অন্তত ১০ থেকে ১৪ দিন সময় লাগবে। এ ছাড়াও প্রথম ডোজে শরীরে ৫০ শতাংশ ইমিউনিটি গড়ে তুলতে সক্ষম এবং দ্বিতীয় ডোজে ৯৫ শতাংশ ইমিউনিটি গড়ে তুলতে সক্ষম। তাই করোনার প্রতিষেধক প্রয়োগের পরেও ১০-১৪ দিন না কাটলে করোনার রিপোর্ট পজিটিভ আসার সম্ভাবনা থাকছে।
উল্লেখ্য, করোনার নতুন স্ট্রেন ব্যাপক ভাবে ছড়িয়ে পড়েছে ব্রিটেনে। সেই নিয়ে নাজেহাল বিশেষজ্ঞরা। কীভাবে নতুন প্রজাতির সংক্রমণ রোখা যায় সেই নিয়ে তাঁরা বিভিন্ন রকমের গবেষণা চালাচ্ছে। তারই মধ্যে করোনার ভ্যাকসিন প্রয়োগের পর মানব দেহে কিছু বিরূপ প্রতিক্রিয়ার ঘটনা নজরে আসছে। যদি পুরনো প্রজাতির করোনায় এই ভ্যাকসিন কার্যকর না হয়ে থাকে তাহলে নতুন প্রজাতির করোনা মোকাবিলায় কতটা সাফল্য পাবে এই ভ্যাকসিন সেই নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করছে বিশেষজ্ঞদের একাংশ।