ভারতের উপরে ট্রাম্পের চটে যাওয়ার একটি কারণ অবশ্যই অপারেশন সিঁদুর চলাকালীন ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষবিরতির কৃতিত্ব তাঁকে নিতে দেয়নি নয়াদিল্লি৷ এমন কি, প্রধানমন্ত্রী সংসদে দাঁড়িয়েও জোর গলায় দাবি করেন,বিশ্বের কোনও রাষ্ট্রনেতা ফোন করে অপারেশন সিঁদুর বন্ধ করার জন্য ভারতকে চাপ দেয়নি৷ ঘটনাচক্রে, মোদির এই মন্তব্যের পরের দিনই ভারতীয় পণ্যের উপরে ২৫ শতাংশ শুল্ক চাপান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প৷ রাশিয়ার থেকে তেল কেনা বন্ধ না করায় এর কিছু দিন পর ফের একবার ভারতের উপরে আরও ২৫ শতাংশ শুল্ক চাপান মার্কিন প্রেসিডেন্ট৷
advertisement
ভারতের উপরে ট্রাম্পের এমন খড়্গহস্ত হওয়ার আরও একটি কারণ রয়েছে বলেই এবার মার্কিন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত একটি রিপোর্টে দাবি করা হল৷ দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস-এ ৩০ অগাস্ট প্রকাশিত রিপোর্টে চাঞ্চল্যকর একটি দাবি করা হয়েছে৷ সেখানে বলা হয়েছে, ডোনাল্ড ট্রাম্প যাতে নোবেল শান্তি পুরস্কার পান, তার জন্য দরবার করতে রাজি হননি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ আর সে কারণেই ভারতের উপরে প্রচণ্ড চটেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প৷
ওই রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, মোদি যখন কানাডায় জি৭ শীর্ষ সম্মেলনে ব্যস্ত ছিলেন তখন তাঁকে ফোন করেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প৷ সেই সময় মোদিকে ট্রাম্প বলেন, নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য পাকিস্তান তাঁর নাম মনোনয়ন করতে চলেছে৷ ভারতও যাতে পাকিস্তানের পথে হাঁটে, মোদিকে সেই ইঙ্গিতই দিতে চেয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট৷ গত কয়েকমাস ধরে প্রকাশ্যেই নিজের জন্য নোবেল শান্তি পুরস্কার চেয়ে সওয়াল করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প৷
সূত্রের খবর, ট্রাম্পের প্রত্যাশায় জল ঢেলে মোদি তাঁকে জানিয়ে দেন, ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষবিরতির সিদ্ধান্তে আমেরিকার কোনও ভূমিকাই ছিল না৷ বরং দু দেশের মধ্যে আলোচনার ভিত্তিতেই সংঘর্ষবিরতি শুরু হয়েছে৷ কোনও তৃতীয় পক্ষের সেখানে ভূমিকা ছিল না৷
নিউ ইয়র্ক টাইমস-এর ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, মোদির এই প্রত্যাখ্যানে ততক্ষণাৎ কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি মার্কিন প্রেসিডেন্ট৷ কিন্তু ভারতের প্রধানমন্ত্রীর এই কঠোর অবস্থানেই চটেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট৷ আর সেখান থেকেই দুই রাষ্ট্রনেতা তো বটেই, ভারত-আমেরিকা সম্পর্কেও চিড় ধরতে শুরু করে৷ ভারতের উপরে ট্রাম্পের ৫০ শতাংশ শুল্ক চাপানোর সিদ্ধান্তও তারই জেরে৷