তাদের রিপোর্টে বলা হয়েছে ২০৪০ থেকেই এর ভয়ঙ্কর প্রভাব দেখা যাবে। ১৮টি ইউএস ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি এর ওপর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ২৭ পাতার একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। সেখানে বলা হয়েছে সবার প্রথমে নজর দিতে হবে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের ওপর- সেটি হল জলবায়ুকে জাতীয় সুরক্ষা হিসাবে তার রক্ষার স্বার্থে বিশেষ উদ্যোগ নিতে হবে।
advertisement
আরও পড়ুন- কী সাংঘাতিক! বিমান থেকে বর্জ্য এসে পড়ল ব্যক্তির মাথায়,বাগানও ভরে গেল আবর্জনায়
এই রিপোর্টে জলবায়ু পরিবর্তনের বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। এখানে একটি উদাহরণের মাধ্যমে দেখানো হয়েছে যে পুরো বিশ্বই এই বিষয়ে একে অপরকে সাহায্য না করে এক ভয়ঙ্কর প্রতিযোগিতায় মেতে উঠেছে। কোন দেশ কার থেকে বেশি শক্তিশালী তা প্রমাণ করতে গিয়ে সকলেই জলবায়ুর বিশাল ক্ষতি করে চলেছে।
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন (Joe Biden) পরের মাসেই গ্লাসগোতে (Glasgow) সিওপি২৬ (COP26) ক্লাইমেট সামিটে অংশগ্রহণ করবেন। আশা করা হচ্ছে এই সামিটে জলবায়ুর পরিবর্তনের কথা মাথায় রেখে কোনও আন্তর্জাতিক চুক্তি হতে পারে।
ইউএস ইন্টেলিজেন্স কমিউনিটি ১১টি দেশ এবং ২টি রিজিয়ন নির্ধারণ করেছে যাদের ক্ষেত্রে জল, এনার্জি, খাদ্য এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিপদসীমার সামনে দাঁড়িয়ে। এই সকল দেশ অর্থনৈতিক দিক দিয়েও কিছুটা পিছিয়ে। এর ফলে তাদের বেঁচে থাকার জন্য যা দরকার তা সংগ্রহ করতে গিয়ে তারা বিপদের মুখে ঠেলে দিচ্ছে দেশের জলবায়ুকে।
এই ১১টি দেশ হল দক্ষিণ ও পূর্ব এশিয়ার আফগানিস্তান (Afghanistan), বার্মা (Burma), ইন্ডিয়া (India), পাকিস্তান (Pakistan) এবং উত্তর কোরিয়া (North Korea)। মধ্য আমেরিকা ও ক্যারিবিয়ান দেশের মধ্যে রয়েছে গুয়াতেমালা (Guatemala), হাইতি (Haiti), হন্ডুরাস (Honduras), নিকারাগুয়া (Nicaragua)। এছাড়াও বাকি দু'টি দেশ হল কলম্বিয়া (Colombia) এবং ইরাক (Iraq)।
অনেক দেশেই জলের ব্যবহার এখন সব থেকে বড় একটি সমস্যা। মিডল ইস্ট এবং নর্থ আফ্রিকার দেশগুলোতে খাবার জলের রিসোর্স বিপদসীমার কাছাকাছি। এর ফলে এখনই জলবায়ুর পরিবর্তনের দিকে বিশেষ নজর দেওয়া দরকার। কারণ ধীরে ধীরে আমরা নিজেরাই নিজেদের ঠেলে দিচ্ছি এক ভয়ঙ্কর বিপদের মুখে।
প্রতিটি দেশকে এই নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করতে হবে এবং কী ভাবে পরিবেশকে বাঁচিয়ে জলবায়ুকে রক্ষা করা যায় সে দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে, সতর্ক করছে ইউএস ইন্টেলিজেন্সের রিপোর্ট।