আয়কর প্রসঙ্গে নিজের স্বপক্ষে ট্রাম্পের সোজা যুক্তি, 'আমি কর দিতে চাই না৷' সম্প্রতি নিউ ইয়র্ক টাইমস-এ প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১৯৯০-এর দশক থেকে ট্রাম্পের ব্যক্তিগত ও তাঁর কোম্পানি গত কয়েক দশকের আয়কর বিষয়ক নথিপত্র জোগাড় করেছে। দেখা গিয়েছে, ১৫ বছরের মধ্যে ১০ বছরই ট্রাম্প কোনও আয়কর দেননি। নথিপত্রে 'ধারাবাহিক লোকসান' উল্লেখ করা রয়েছে বলে দেখা যাচ্ছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রাম্প আয়ের চেয়ে অনেক বেশি লোকসান দেখিয়েছেন।
advertisement
যদিও ট্রাম্প এই প্রতিবেদনকে ফেক নিউজ দাবি করেছেন। নিউ ইয়র্ক টাইমসের রিপোর্ট বলছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০১৬ ও ২০১৭ সালে পরপর দুই বছর ৭৫০ ডলার করে আয়কর দিয়েছেন। ২০১৬ সালে তিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন এবং তার পরের বছর মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে একবছর দায়িত্ব পালনের সময় এই পরিমাণ কর দিয়েছেন।
বাইডেন বলেন, 'বিষয় হল, উনি যা যা এতদিন ধরে বলেছেন, সব মিথ্যে৷ আমি এখানে ওঁর (ট্রাম্প) মিথ্যে শুনতে আসিনি৷ সবাই জানে, উনি মিথ্যেবাজ৷ আপনি প্লিজ চুপ করবেন?'
ট্রাম্প ও বাইডেনের মুখোমুখি বিতর্ক এতটাই উত্তপ্ত ছিল যে তাঁরা একে অপরের সঙ্গে করমর্দন পর্যন্ত করেননি৷ দুজনের কেউই মাস্ক পরেননি৷ ফক্স নিউজের সঞ্চালক ক্রিস ওয়ালেস বিতর্ক শুরুতেই ট্রাম্প ও বাইডেনের করমর্দন না করার বিষয়টি বলে দেন৷ বাইডেন হাল্কা হেসে ট্রাম্পকে জিগ্গেস করেন, 'কেমন চলছে সব?' এরপরেই শুরু হয় ৯০ মিনিটের ডিবেট৷ করোনা অতিমারির জন্য ক্লেভল্যান্ডে ওয়েস্টার্ন রিজার্ভ বিশ্ববিদ্যালয়ে ওই ডিবেটে খুব কম সংখ্যক দর্শক ছিলেন সামাজিক দূরত্ব মেনে৷ ট্রাম্পকে তীব্র আক্রমণ করে বাইডেন বলেন, 'আপনি তো একজন ক্লাউন (ভাঁড়)৷ আমেরিকার ইতিহাসে সবচেয়ে খারাপ প্রেসিডেন্ট৷'