বদরের গ্রেফতারি নিয়ে হোমল্যান্ড সিকিউরিটির সহকারি সচিব ট্রিশিয়া ম্যাকলাফলিন সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, “বদর খান সুরি হামাসের হয়ে সক্রিয় প্রচার চালাতেন। তাঁর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একাধিক ইহুদি বিরোধী পোস্টও রয়েছে।“ শুধু তাই নয়, বদর খান সুরির সঙ্গে হামাসের একজন শীর্ষ উপদেষ্টার ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে বলেও অভিযোগ করেছিলেন তিনি।
যদিও সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দেন বদরের আইনজীবী। তাঁর দাবি, বদরের নামে অপরাধের কোনও রেকর্ড নেই। পুলিশে কোনও অভিযোগও দায়ের হয়নি। স্ত্রী প্যালেস্তেনীয় বংশোদ্ভূত হওয়ার কারণেই বদরকে টার্গেট করা হচ্ছে।
advertisement
মার্কিন আদালতের নির্দেশে আপাতত স্বস্তিতে বদরের পরিবার। আদালত বলেছে, “বদর খান সুরিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে বহিষ্কার করা যাবে না, যতক্ষণ না আদালত অন্য কোনও নির্দেশ দিচ্ছে।“ স্বামীর গ্রেফতারির পর ভেঙে পড়েন বদরের স্ত্রী মাফেজ সালেহ। তাঁর কথায়, “আমাদের জীবনে অন্ধকার নেমে এসেছে। সন্তানরা বাবাকে খুব মিস করছে। বদরকে আমাদের প্রয়োজন। তিন সন্তানের মা হিসেবে আমিও বদরকে পাশে চাই। যাতে নিজের এবং সন্তানদের দেখভাল করতে পারি।“
জর্জটাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, স্টুডেন্ট ভিসায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এসেছেন বদর খান সুরি। তিনি ইরাক ও আফগানিস্তানে শান্তি প্রতিষ্ঠা নিয়ে গবেষণা করছেন। সম্প্রতি মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে কড়া নজর রেখেছে ট্রাম্প সরকার। ইজরায়েল বিরোধী যে কোনও আন্দোলন কড়া হাতে দমন করা হচ্ছে। প্যালেস্তাইনের সমর্থনে মিছিল করার অভিযোগে মিছিল করায় ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী ও গবেষককে আটকও করা হয়েছে।
৮ মার্চ নিরীহ গাজাবাসীকে হত্যার প্রতিবাদে মিছিল করার অভিযোগে কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক মহম্মদ খলিলকে গ্রেফতার করা হয়। স্টুডেন্ট ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরও মার্কিন মুলুকে অবৈধভাবে থাকার অভিযোগের গ্রেফতার করা হয় কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক ছাত্র লেকা কোরদিয়াকে। ভারতীয় তরুণী রঞ্জনী শ্রীবাস্তবেরও ভিসা বাতিল করে দেওয়া হয়েছিল। তারপরই আমেরিকা ছাড়েন তিনি।
