উল্লেখ্য, ট্রাম্পের স্বাক্ষরিত একজিকিউটিভ অর্ডারে বলা হয়েছিল, আমেরিকায় জন্ম নেওয়া কোনও শিশুর মা-বাবার কেউ যদি মার্কিন নাগরিক বা আমেরিকার বৈধ স্থায়ী বাসিন্দা না হন, তাহলে সেই শিশু মার্কিন নাগরিক হতে পারবেন না। রাজ্যগুলির যুক্তি ছিল, ট্রাম্পের নির্দেশ মার্কিন সংবিধানের ১৪ তম সংশোধনীর সম্পূর্ণ উল্টো। এতে বলা হয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে জন্মগ্রহণ করলে তাঁকে মার্কিন নাগরিক বলে ধরা হবে। তাই ট্রাম্পের নির্দেশ নাগরিকত্বের অধিকার আইন লঙ্ঘন করেছে।
advertisement
আরও পড়ুন: উইকেন্ডে ঝড়জল-বৃষ্টির পূর্বাভাস, ২৬ জানুয়ারি কেমন থাকবে আবহাওয়া? ওয়েদারের বড় আপডেট
শুনানিতে মার্কিন বিচারবিভাগের আইনজীবীদের তীব্র ভর্ৎসনা করেন বিচারক। তিনি বলেন, “এটা একেবারে অবিশ্বাস্য। বুঝতে পারছি না, কীভাবে কোনও আইনজীবী এই আইনকে সাংবিধানিক বলতে পারেন।” এখানেই থামেননি বিচারক। একজিকিউটিভ অর্ডারকে “একেবারে অযৌক্তিক” বলে উড়িয়ে দিয়ে তিনি বলেন, “চার দশকেরও বেশি সময় ধরে বিচারকের দায়িত্ব সামলাচ্ছি। কিন্তু এমন কোনও মামলার কথা মনে করতে পারছি না, যেখানে প্রশ্ন এত স্পষ্ট ছিল। একেবারে অযৌক্তিক আদেশ।”
আরও পড়ুন: রাজ্য সরকারি কর্মীদের সরস্বতী পুজোর ছুটি কবে? রবি না সোম? না জানলে বিপদে পড়বেন!
আদালতে উপস্থিতি অন্যান্য বিচারকদের সামনেই স্থগিতাদেশের নির্দেশ জারি করেন বিচারক জন কফেনৌর। তবে আপাতত ১৪ দিনের জন্য স্থগিতাদেশ জারি করা হয়েছে। এটাকে স্থায়ী নিষেধাজ্ঞায় বদলানো হবে কি না, তা খতিয়ে দেখবেন বিচারক। এই নিয়ে ৬ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে। ট্রাম্পের আদেশ অনুযায়ী, ১৯ ফেব্রুয়ারির পরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে জন্মগ্রহণ করা কোনও শিশু, যাঁর মা বা বাবা আমেরিকান নাগরিক বা বৈধ স্থায়ী বাসিন্দা নন, তাঁদেরকে ডিপোর্ট করা হবে। তাঁরা কোনও সরকারি সুযোগসুবিধা পাবেন না। সামাজিক নিরাপত্তা নম্বরও নিয়ে নেওয়া হবে। বৈধভাবে কাজের সুযোগও মিলবে না।
তবে মার্কিন সরকারের আইনজীবী ব্রেট শুমেটের দাবি, ট্রাম্পের পদক্ষেপ সাংবিধানিক। যাঁরা এতে বাধা দেবেন তাঁরা “অত্যন্ত অযোগ্য”। তবে দু’পক্ষের যুক্তি এবং পাল্টা যুক্তির মধ্যেই কফেনৌর জানিয়ে দেন, তিনি ট্রাম্পের আদেশ্র উপর সাময়িক নিষেধাজ্ঞা জারি করছেন।