পুলওয়ামা হামলার কড়া নিন্দা করে প্রস্তাব পেশ করল রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত এই নিন্দা প্রস্তাব আটকাতে চেষ্টা করেছিল চিন। তবে তা কাজে আসেনি।
বৃহস্পতিবার পুলওয়ামা হামলার কড়া নিন্দা করে বিবৃতি দেন রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতিয়ারেজ। তারপরই বার্তা আসে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের তরফে। এখানে বলা হয়, ১৪ জানুয়ারির ঘটনায় ৪০ জনেরও বেশি আধাসামরিক জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে। জইশ-এ-মহম্মদ ইতিমধ্যেই ঘটনার দায় নিয়েছে। নিহতদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছে নিরাপত্তা পরিষদ।
advertisement
এরপরের অংশটি কূটনৈতিক ভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। যেখানে জানানো হয়,আন্তর্জাতিক শান্তি ও সুরক্ষার ক্ষেত্রে যে কোনও ধরনের সন্ত্রাসবাদ চরম বিপজ্জনক। সন্ত্রাসে যারা জড়িত, যারা মদতদাতা, অর্থসাহায্যকারী, সকলেই সমান দোষী এবং তাদের যে কোনও ভাবে শাস্তি দেওয়া জরুরি। সব দেশের কাছে আরজি, সন্ত্রাস দমনে ভারতকে সহযোগিতা করুন। বিশ্বে শান্তি ও স্থিতির স্বার্থে, সব দেশের উচিত যে কোনও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো ৷ কূটনীতিকরা জানাচ্ছেন, যেভাবে সব দেশকে সন্ত্রাস দমনে ভারতের পাশে দাঁড়ানোর আবেদন করা হল, তা ভারতের হাত শক্ত করেছে।
চিনের আপত্তি অগ্রাহ্য করেই পুলওয়ামা হামলার ৮ দিন পর নিরাপত্তা পরিষদের বিবৃতি। সূত্রের খবর, হামলার পরই ভারতকে বার্তা দিয়ে বিবৃতি দিতে উদ্যোগী হয়েছিল নিরাপত্তা পরিষদ। অন্তত তিনবার চিনের বাধায় তা সম্ভব হয়নি। শেষ পর্যন্ত ভারত ও ফ্রান্সের চাপের মুখে অবস্থান স্পষ্ট করে নিরাপত্তা পরিষদ। পুলওয়ামা হামলার পর জইশ-এ-মহম্মদ সুপ্রিমো মাসুদ আজহারকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী ঘোষণায় আপত্তি তোলে চিন।
সন্ত্রাসে মদত দেওয়ার অভিযোগে পাকিস্তানে নজরদারি রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নিয়ামক সংস্থা ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স বা এফএটিএফ। তাদের দাবি, আর্থিক ও প্রযুক্তিগত মদত ছাড়া পুলওয়ামার মতো ঘটনা সম্ভব নয় ৷ তাই পাকিস্তানের ভূমিকা খতিয়ে দেখা প্রয়োজনে বলেই জানিয়েছে এফএটিএফ।